বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে
বার্তা সংস্থা রয়টার্সে বেইলি রোডের আগুনের খবর
রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও ১২ জন। যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ পরিস্থিতিতে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে।
ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স, এএফপি, এপি, এএনআই, সংবাদমাধ্যম বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন, টিআরটি ওয়ার্ল্ড, আল আরাবিয়া নিউজ, আরব নিউজ, এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
আগুনের খবরটি লিডে রেখে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ‘বাংলাদেশে একটি ছয় তলা ভবনের আগুন লাগার পর তা বিভিন্ন ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। ভবনটিতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ছিল, যেখানে অনেক পরিবার তাদের শিশুদের নিয়ে খাবার খাচ্ছিলেন।’
তারা বলছে, ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশ সাধারণ। আগুনের ঘটনা এখন নতুন ভবনেও বৃদ্ধি পেয়েছে, মূলত এসব ভবন প্রায়ই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই নির্মিত। ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার, এয়ার কন্ডিশনার এবং দুর্বল বৈদ্যুতিক তারের কারণে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকে।
একইভাবে ভয়াবহ এই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিনের বরাতে গণমাধ্যমটি বলছে, ‘এটি একটি বিপজ্জনক ভবন ছিল, যার প্রতি তলায় গ্যাস সিলিন্ডার ছিল, এমনকি সিঁড়িতেও ছিল।’
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনে আগুন লাগা বেশ সাধারণ ঘটনা। এসব অগ্নিকাণ্ডের জন্য প্রায়ই দুর্বল নিরাপত্তা সচেতনতা এবং আইনের অপর্যাপ্ত প্রয়োগকে দায়ী করা হয়ে থাকে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘তাৎক্ষণিক খবর’ হিসেবে এটি প্রচার করা হয়। অনেকটা একই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করেছে বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), এএনআই, সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি, আল আরাবিয়া নিউজ, আরব নিউজ, দ্য হিন্দু, টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস-সহ আরও অনেক গণমাধ্যম।
মূলত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত দশটার দিকে গ্রিন কজি কটেজ নামে একটি ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর অল্প সময়েই পুরো ভবনে তা ছড়িয়ে পড়ে।ভবনে থাকাদের অনেকে বলছে, নিচতলায় আগুন লাগে, ফলে ভবনটির ওপরের তলাগুলোতে আটকে পড়েন অনেকে। প্রাণ বাঁচানোর জন্য ওপর থেকে মানুষ লাফিয়ে পড়ে। সিঁড়ি দিয়ে নামার চেষ্টা করেও অনেকে ব্যর্থ হন। আর ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, সিঁড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কারণে পুরো সিঁড়িটি ‘অগ্নি চুল্লির’ মতো হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে কেউ সিঁড়ি ব্যবহার করে নামতে পারেনি।
Leave a Reply