কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): মানবতা বিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত যুদ্ধাপরাধী ও আন্তার্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী মোঃ আবুল খায়ের (৭০)’কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০।
বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-১০ এর উপ পরিচালক আমিনুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গতকাল ৩১ জানুয়ারি বুধবার আনুমানিক দুপুর সোয়া ১টার দিকে রাজধানীর উত্তরা-পশ্চিম থানার আহালিয়ার মাষ্টার গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্ৰেপ্তার করে। সে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার চর ফকিরা গ্ৰামের মৃত দানা মিয়ার সন্তান।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নোয়াখালি এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে আবুল খায়েরসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধী রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ, নৃশংস হত্যাকান্ডসহ মানবতা বিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সশস্ত্র রাজাকার ও পাকিস্তানি আর্মি নিয়ে নোয়াখালি জেলার কোম্পানিগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় বুদ্ধিজীবী ডঃ রমেশ চন্দ্র সেনকে হত্যাসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা সাতজনসহ মোট ১০ জন ব্যক্তিকে হত্যা করে।
এরই প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কর্তৃক একটি মামলা যার কমপ্লেইন্ট রেজিঃ ক্রমিক-৮৭, তারিখ-১২/১১/২০১৭, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (বাংলাদেশ) মিস. মামলা নং-০৪/২০২১ রুজু হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধী আবুল খায়ের এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি হয়। গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামী আবুল খায়ের দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ছদ্মবেশে আত্মগোপন করে থাকে।
বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রইব্যুনাল-১ কর্তৃক ইস্যুকৃত গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভুক্ত যুদ্ধাপরাধী মোঃ আবুল খায়ের (৭০), গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১০ আরও উল্লেখ করেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেপ্তারকৃত আসামী উল্লেখিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় আসামী আবুল খায়ের গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর হতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট থেকে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপন করে ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply