খেলাধুলা ডেস্ক: মঞ্চটা প্রস্তুত করেই নেমেছিল ভারত। ক্রিকেটের দিক থেকে ধারণক্ষমতায় সর্বোচ্চ স্টেডিয়ামে শিরোপা উদ্যাপন করবে তারা। সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন ভারতের দর্শক-সমর্থকেরাও। কিন্তু ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার আহমেদাবাদে বিপরীত চিত্র দেখল ভারত। ১২ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের যে স্বপ্ন দেখছিল ভারত তা বাস্তবে রূপ নেয়নি।
আহমেদাবাদের নীল গর্জনকে নিস্তব্ধ করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের স্বপ্ন বিনষ্ট করে নিজেদের অপেক্ষা ফুরাল অস্ট্রেলিয়া। ৬ উইকেটের জয়ে ৮ বছর পর আবারও সোনালি ট্রফিতে চুমু দিল তারা। এতে করে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো অস্ট্রেলিয়া।
উড়তে থাকা ভারতের এমন পরাজয়ের পেছনে পাঁচ কারণ খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। যেখানে ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করেছে অজিরা।
১) টসে হার : দিনের শুরুটা নাকি বাকি দিনের কথা জানান দেয়। দিনের শুরুতে দরকার ছিল ভালো কিছুর। তাতেই বাজিমাত অস্ট্রেলিয়ার। টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। যদিও সবার বক্তব্যই ছিল, আহমেদাবাদের এই পিচে আগে ব্যাট নেয়ার। কিন্তু পরে বোঝা গেল কামিন্সই ঠিক ছিলেন। ভারত ব্যাট করার সময় পিচ প্রচণ্ড মন্থর এবং শুকনো ছিল। ফলে বল দেরিতে ব্যাটে আসছিল। রান করাও ছিল কঠিন।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের সময় পরিস্থিতি পুরোপুরি পাল্টে গেল। সন্ধ্যা ৭টার পড়তে শিশির পড়তে শুরু করল। সেটাই যেন কাজে লাগল তাদের। ভারতের ম্যাচও শেষ হয়ে যায় ওখানেই।
২) বাউন্ডারি না থাকা : পুরো ম্যাচেই বাউন্ডারির জন্য হাপিত্যেশ করেছেন ভারতের ব্যাটাররা। দুই দফায় মোট ৩৫ ওভার বাউন্ডারি বঞ্চিত ছিল ভারত। বিরাট কোহলি আর লোকেশ রাহুল ক্রিজে লম্বা সময় পার করলেও বাউন্ডারির দেখা পাননি। আবার ২৯তম ওভারে বাউন্ডারির পর আরও একবার খরার মাঝে পড়তে হয় তাদের। বাউন্ডারির এই স্বল্পতায় স্কোরবোর্ডেও বড় রান জমা করা হয়নি তাদের।
৩) লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যর্থ : পুরো বিশ্বকাপে এর আগে এমন পরীক্ষা দিতেই হয়নি ভারতের লোয়ার মিডল অর্ডারে। ফাইনালেই তাদের বড় পরীক্ষার মঞ্চ। আর তাতেই যেন ব্যর্থ দলটি। সূর্যকুমার আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন ওয়ানডে ফরম্যাটে। হতাশ করেছেন অভিজ্ঞ রবীন্দ্র জাদেজাও। ফাইনালে মোটে ৯ রান করলেন। সূর্যের রান ছিল মোট ১৮।
৪) দুর্দান্ত ফিল্ডিং : অস্ট্রেলিয়া ফিল্ডিং ছিল দুর্দান্ত। বাউন্ডারি লাইনে ছিল অনবদ্য। ভারতের কমপক্ষে ৪০-৪৫ রান বাঁচিয়েছে। অতিরিক্ত রান দিয়েছে মোটে ১২। সেখানে ভারতের ফিল্ডারেরা যথেষ্ট বাজে ফিল্ডিংয়ের পরিচয় দিয়েছেন।
৫) ট্রাভিস হেড এবং ল্যাবুশেন : সাত ওভার এবং ৪৭ রানের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ৩টি উইকেট ফেলে দেওয়ার পর যেন আচমকাই হারিয়ে গেল ভারতীয় বোলাররা। হেড আর ল্যাবুশেনের ম্যাচ জেতানো জুটির বিপরীতে কিছুই করা হয়নি ভারতীয় বোলারদের। ম্যাচটাও ওখানেই হেরেছে তারা।
Leave a Reply