ডেস্ক নিউজ: বাজারে শীতের সবজির দাম কিছুটা কমলেও এখনও তা ক্রেতার নাগালের বাইরে। ডিমের পাশাপাশি কমেছে মুরগি ও মাছের দর। তবে সংকট না থাকলেও বাড়তি চালের বাজার। আর নানা অজুহাতে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে আটা-ময়দার দাম।
বাজারে সরবরাহ বেড়েছে শীতকালীন সবজির। সঙ্গে কমতে শুরু করেছে দামও। রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজারে দুয়েকটি বাদে সব সবজির দাম ৬০ টাকার ঘরে। তবে মরিচ, টমেটো আর গাজর নামেনি শত টাকার নিচে।
এক ক্রেতা বলেন, মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য চলা খুবই কষ্টকর। আমরা বাজারে এসে ভালোভাবে কিছু কিনতে পারি না। এভাবে চলতে পারি না। আরেক ক্রেতা বলেন, এখন শাকসবজির দর একটু কম হওয়া উচিত। কিন্তু বাজারে তা তুলনামূলকভাবে বেশি। অপর ক্রেতা বলেন, নির্বাচন এলে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেয় সিন্ডিকেট। এক্ষেত্রে সাধারণ জনগণের কিছু করার নেই।
সরবরাহ ভালো থাকায় কমেছে মাছের দর। আর ডিমের সঙ্গে কমেছে মুরগি দামও। ব্রয়লার ১৭০ টাকা আর সোনালী মুরগি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। এক বিক্রেতা বলেন, কেজিতে মাছের দাম কমেছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। শীতকাল শুরু হয়েছে। ফলে মাছের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বড় কাতল বেচছি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। আর রুই বিক্রি করছি ৪০০ টাকা কেজি। আর বোয়াল বিক্রি করছি ৫৫০ টাকা কেজি।
এক ক্রেতা বলেন, বাজারে যে পরিমাণ সরবরাহ, সে অনুযায়ী দাম আরও কমার কথা ছিল। কিন্তু সেই লক্ষণ নেই। এক বিক্রেতা বলেন, শীতে ডিমের সরবরাহ বেশি থাকে। ফলে দর কমেছে। সামনে আরও কমবে।
তবে নানা অজুহাতে সপ্তাহ ধরে কেজিতে অন্তত ৩ টাকা বেড়েছে সবধরনের চালের মূল্য। ডলারের দোহাই দিয়ে আটা-ময়দার দাম কেজিতে বেড়েছে অন্তত পাঁচ টাকা। এক বিক্রেতা বলেন, দেশে হরতাল-অবরোধে সরবরাহ কমেছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পণ্যগুলোর দর বেড়েছে।
আরেক বিক্রেতা বলেন, মিলাররা বলছেন; ধানের দাম বেশি। ডলার সংকটও বিদ্যমান। ফলে দর বেড়েছে। তবে নাগালে আসেনি আলু ও পেঁয়াজের দর। আলু ৪৫ থেকে ৫০ আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে।
Leave a Reply