নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) একসঙ্গে পাঁচ সন্তান জন্ম দিয়েছেন নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার বান্ধারিয়া গ্রামের এক নারী। কিন্তু ভূমিষ্ঠদের মধ্যে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। আর বাকি চারজন ঢামেকের পুরনো ভবনের দ্বিতীয় তলায় এনআইসিউতে রয়েছে। সদ্য মা হওয়া ওই নারী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালের দিকে নরমাল অবস্থায় একে একে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন গৃহিণী মনসুরা আক্তার। তার বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার বান্ধারিয়া গ্রামে। প্রায় আড়াই বছর আগে সিএনজি চালক মামুনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার।
এ ব্যাপারে গাইনী ওয়ার্ডের ডিউটিরত চিকিৎসক ডা. মাশরিমা মোর্শেদ মিশি সংবাদমাধ্যমে জানান, গৃহিণী মনসুরা সকালে গাইনী ওয়ার্ডের ৬ নম্বর ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা আফরোজ শিলার তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি আজ সকালে বাচ্চার হাত বের হওয়া অবস্থায় নরসিংদী থেকে এসে গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
ডা. মাশরিমা মোর্শেদ মিশি আরও জানান, ওই নারীর নরমাল অবস্থাতেই পাঁচ সন্তান জন্ম হয়েছে। নবজাতকদের সবার ওজন খুবই কম ছিল। পরে তাদের দ্রুত এনআইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নবজাতক এক মেয়ের মৃত্যু হয়। বাকি চার নবজাতকের অবস্থায়ও খুব বেশি ভালো নয়। তবে ওই মা ভালো আছেন।
এদিকে সদ্য মা হওয়া গৃহিণী মনসুরা জানিয়েছেন, এবার তার প্রথম মা হওয়া। তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বুধবার নিয়মিত চেকআপ করার জন্য শিবপুরের একটি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাকে জানানো হয়, তার গর্ভে ৫ সন্তান এসেছে। এরপর ঢাকায় এসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়।
তিনি বলেন, আজ সকালে ঢাকায় আসার জন্য পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। কিন্তু ভোরে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয় আমাকে।
মনসুরার স্বামী মামুন জানিয়েছেন, আজ সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছানোর পর ডাক্তাররা নরমাল ডেলিভারি করান তার স্ত্রীর। পরে একে একে পাঁচ সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু তাদের ওজন খুবই কম। এ জন্য তাদের হাসপাতালের এনআইসিইউতে রাখা হয়েছে।
সংবাদ/ নিউজ২৪ থেকে সংগ্রহ
Leave a Reply