খুলনা ব্যুরো: জীবিকার তাগিদে সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়েছিল জেলে শিপার (২২)। কয়েক ঘণ্টা পরই জীবনপ্রদীপ নিভে গেল। জঙ্গলে পাওয়া গেল তার মাথা আর পরনের কাপড়। এমনই ঘটনা ঘটেছে সুন্দরবনের চাদপাই রেঞ্জের তুলাতলা এলাকার খালে।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বন বিভাগের ‘পাস’ ছাড়া সবার অগোচরে বাড়ির পাশেই জাল নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন শিপার। খোঁজাখুঁজির পর রোববার সকালে চারদিন পর সুন্দরবনের তুলা এলাকায় জেলে শিপার হাওলাদারের মাথা ও তার পরনের প্যান্ট পাওয়া যায়। পাশে নরম মাটিতে দেখা মিলল বাঘের অসংখ্য পায়ের ছাপ।
নিহত শিপারের বাবা ফারুক হাওলাদার জানান, বুধবার বন বিভাগের পাশ নিয়ে নৌকায় করে জাল নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম আমি। সবার অজান্তে আমার ছেলে শিপার একই দিন ঝাঁকি জাল নিয়ে আমাদের বাড়ির পাশে সুন্দরবনের চাদপাই রেঞ্জের তুলাতলা এলাকার খালে মাছ ধরতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। যেহেতু শিপারের দেখা পাচ্ছে না তাই পরিবারের সদস্যরা মনে করেছে ছেলে শিপার ও হয়তো আমার সঙ্গে মাছ ধরতে গেছে। আমি শনিবার বিকেলে বাড়িতে ফিরে আসলে ছেলেকে না দেখে আমরা ও এলাকাবাসী সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি শুরু করি।
তিনি বলেন, শনিবার বিকেলে বনে খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান না পেয়ে ফিরে আসি। এরপর রোববার ভোর থেকে আবারো খোঁজাখুঁজি শুরু করি। একপর্যায়ে বেলা ৯টার দিকে সুন্দরবনের তুলা এলাকায় জেলে শিপার হাওলাদারের মাথা ও তার পরনের ছোট প্যান্ট চোখে পড়ে। আর শরীরের বাকি অংশ বাঘে খেয়ে ফেলেছে বলে আর বুঝতে বাকি নেই।
নিহত শিপার শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের ফারুক হাওলাদারের ছেলে। বাড়ির কাছে খালটিতে ঝাঁকি জাল ফেলে মাছ ধরে দ্রুত বাড়ি ফিরে আসবেন এ কারণে বন বিভাগের অনুমতি নেয়নি বলে তার বাবা জানান।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মো. নুরুল কবিরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত তিনি কিছুই জানেন না।
Leave a Reply