অনলাইন ডেস্ক: ভারতের সর্বশেষ মহাকাশ মিশন চন্দ্রযান-৩ তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পর চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে।
শনিবার দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) নিশ্চিত করে জানায়, চন্দ্রযান-৩ ‘সফলভাবে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করানো হয়েছে’।
যদি বর্তমান মিশনের বাকিটা পরিকল্পনামতো চলে, তাহলে মিশনটি ২৩ এবং ২৪ আগস্টের মধ্যে নিরাপদে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছাবে।
চার বছর আগে ভারতের চন্দ্রযান-২ চাঁদে অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়। সেবার অবতরণের কয়েক মুহূর্ত আগে যানটির সাথে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ইসরো দ্বারা তৈরি চন্দ্রযান-৩-এ বিক্রম নামে একটি ল্যান্ডার মডিউল রয়েছে, সংস্কৃতে যার অর্থ ‘বীর্য’ এবং প্রজ্ঞা নামে একটি রোভার, সংস্কৃতে যার অর্থ জ্ঞান।
ভারতের জন্য এটি একটি বড় মাইলফলক, যারা তুলনামূলকভাবে কম বাজেটে উচ্চাভিলাষী মহাকাশ কর্মসূচি পরিচালনা করছে। শুধুমাত্র রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন এর আগে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করতে পেরেছে।
এই মিশনে ভারতের মোট খরচ ৭৪ দশমিক ছয় মিলিয়ন ডলার, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম এবং ভারতের মিতব্যয়ী মহাকাশ প্রকৌশলের প্রমাণ।
চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানটি ১৯৬০ এবং ১০৭০-এর দশকের মানববাহী অ্যাপোলো মিশনের চেয়ে চাঁদে পৌঁছাতে অনেক বেশি সময় নিয়েছে, যা কয়েকদিনের মধ্যে পৌঁছেছিল।
এই মিশনে ব্যবহৃত ভারতীয় রকেটটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটার্ন-৫ এর তুলনায় অনেক কম শক্তিশালী। চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার আগে প্রোবটি গতি অর্জনের জন্য উপবৃত্তাকারভাবে পৃথিবীকে পাঁচ বা ছয় বার প্রদক্ষিণ করেছে।
ইসরো প্রধান এস সোমানাথ বলেন, তার প্রকৌশলীরা আগের ব্যর্থ মিশনের ডেটা সাবধানতার সাথে অধ্যয়ন করেছেন এবং ত্রুটিগুলো ঠিক করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
Leave a Reply