কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাস ডুবি ঘটনায় তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী নুহিন (২২)নামে এক যুবক নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজের আত্মীয়—স্বজনরা সকাল থেকেই ঘাটে অবস্থান করে আহাজারি করছে। সোমবার সকালে সাড়ে আটটায় বিআইডব্লিউটিসির উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ঘটনাস্থলে থেকে ডুবন্ত ওয়াটার বাসটি টেনে শ্যামপুর ঘাটে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেটি পাড়ে তোলা হলে এর ভেতর থেকে আর কোন মরদেহ উদ্ধার পাওয়া যায়নি।
রবিবার রাত সোয়া ৮ টায় শ্যামবাজার থেকে ছেড়ে আসা ওয়াটার বাস—৯ এমবি আরাবি এন্টারপ্রাইজ নামে বালুবাহী একটি বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা খেয়ে বুড়িগঙ্গায় তলিয়ে যাওয়ার পর পরই ফায়ার সার্ভিস নৌপুলিশ ও কোস্ট গার্ড সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। উদ্ধার অভিযানের এক পর্যায়ে রাত দশটা দুই মিনিটে সামিরা নামের ১৬ বছরের এক কিশোরী মেয়েকে জীবন্ত উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এরপর একে একে মিম (১৯), মোঃ মনছুর আলী (৩৮) বিল্লাল(২৩)কে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও এ সময় দোহারের জয়পাড়া এলাকার বাসিন্দা ফাহিম (২০) নামের এক যুবককে মৃত অবস্থায় ও চুনকুটিয়া চৌরাস্তা এলাকার আলিফ (১৪) এবং কালীগঞ্জ এলাকার নুরুল আফসার মিঠু (৫৫)কে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের পর মিটফোর্ড হাসপাতালে জরুরী বিভাগে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের সবাইকে মৃত ঘোষণা করে।
সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আব্দুল মালেক জানান, সকাল আটটার দিকে ওয়াটার বাসটি টেনে পাড়ে তোলার পর সেখানে কোন মরদহ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া নিখোঁজের কোন তথ্য না থাকায় উদ্ধার অভিযান আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কোথাও কোন লাশ ভেসে উঠতে পারে এই বিবেচনায় নদীতে টহল অব্যাহত আছে।
সদরঘাট নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শফিকুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার পর পরই ঘাতক বালুবাহী জাহাজটিকে জব্দপূর্বক এর চালকসহ ছয়জন কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply