কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) :কেরানীগঞ্জে শামেলা বেগম নামে এক নারীকে দুই সন্তান সহ মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে বসতভিটা গুড়িয়ে দিয়ে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে পরিবারটি বসতভিটার পাশে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।
বুধবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন পশ্চিম শুভাঢ্যা রতনের খামার এলাকায় সিরাজ মিয়ার ইট বালু গদির পেছনে শামেলা বেগমের বাড়িটি ২০/২৫ জনের সন্ত্রাসী দল সম্পূর্ণ গুড়িয়ে দেয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে তাদেরকে মারধর করে বাড়ির আসবাবপত্র সহ বের করে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সামেলা বেগম থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ফরহাদ, পিয়াস ও রায়হান নামে তিনজনকে আটক করে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী শামেলা বেগম জানায়, ১৫ বছর আগে মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি জমিটি ক্রয় করে চার বছর যাবত পাকা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন। অথচ বর্তমানে আব্দুল কাদের নামে মৃত এক ব্যক্তির স্ত্রী বিউটি জমিটি তার স্বামীর কেনা বলে বাড়ির দখল ছাড়তে বলে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার বিচার হলেও কোন সুরাহা হয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, গিট্টু সিরাজ, দক্ষিণ , সাঁথি ও বিউটি সহ ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী মঙ্গলবার রাতে হামলা চালিয়ে তাকে বাড়ি থেকে আসবাবপত্র সহ বের করে দেয় এবং এলাকা ছেড়ে একেবারে চলে যেতে বলে। সেখান থেকে চলে না গিয়ে বাড়ির পাশে রাস্তার মধ্যে রাত্রিযাপন করেন। খবর পেয়ে বুধবার সকালে তারা পুনরায় এসে বাড়িটি সম্পন্ন গুঁড়িয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সিরাজ বলেন, আমি যতটুকু জানি ওই জমি মৃত আবদুল কাদের নামে এক ব্যক্তির ক্রয় করা। কাদেরের সন্তান ও স্বজন এটা করতে পারে। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। কাজেই আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক না।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাথীও একই কথা বলেন।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ জামান বলেন, বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশেষ প্রতিনিধি/বুড়িগঙ্গা টিভি
Leave a Reply