কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : ঢাকার কেরানীগঞ্জে হত্যা সংঘটিত করে পালিয়ে থাকা আসামি মো. আলআমিন (৩৫) কে ভোলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আলআমিন ভোলার চরফ্যাশন থানার চরমাইনকা গ্রামের কাঞ্চন হাওলাদারের ছেলে। সে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় ভাড়া থেকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গাড়ীর মিস্ত্রীর কাজ করত।
জানাগেছে, দক্ষিন কেরানীগঞ্জে তেঘরিয়ার আলফা বলপেন কারখানা শ্রামিক ইসমত তারা (২৫) নামের এক নারীর সাথে আসামি আলআমিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে শারীরিক সম্পর্কে রাজী না হলে গত ৫ মে শুক্রবার ঈষার্ন্বিত হয়ে আলআমিন তার প্রেমিকা ইসমততারা কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে ইকুরিয়া উত্তরপাড়ার আলম মিয়ার বাড়ীর সামনে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধারকরে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করলে ৭ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। নিহত ইসমততারা শরিয়তপুরের জাজিরা থানার নাওডোবা মাতবর কান্দির আলাউদ্দিন খলিফার মেয়ে। সে স্বামীর সংসার ছেড়ে ইকুরিয়া রেজাউল মুন্সির বাড়ীতে ভাড়া বসবাস করত। তার আট বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান নানার বাড়ীতে থেকে পড়াশুনা করছে। বলপেন কারখানায় চাকরী করে ছেলের পড়াশুনার খরচ ও নিজের খরচ বহন করত।
এঘটনায় নিহতের ভাই আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ বিভিন্নভাবে তদন্ত করে জানতে পারে ইসমত তারা ও আলাআমিনের প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও শারীরিক সম্পর্কে রাজী না হলে ইসমত তারাকে ছুরিকাঘাত করেছে। এমন ঘটনায় আসামিকে গ্রেপ্তারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টক (তদন্ত) মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ভোলার দৌলতখান মেঘনা নদীর দুর্গম চর থেকে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করে। পরে সোমরার দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় আনা হয়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ মোহাম্মদ শাহজামান বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে আলআমিনকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply