1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পদত্যাগ করলেন হাইকোর্টের ৩ বিচারপতি সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় কেরানীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীর উপর হামলা কেরানীগঞ্জে অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ পাঁচ দশকের ব্যবধানে প্রথম কোনো পাকিস্তানি জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগসহ ২৬টি দলের মতামত না চাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেনঃ সংস্কার কমিশন সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা সামনে এলে জনগণ তা মেনে নেবে নাঃ তারেক রহমান আজিমপুরে বাসা থেকে অপহৃত আট মাসের সেই শিশু উদ্ধার

টিকার কারণে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমেছে: স্বাস্থ্য মন্ত্রী

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ৭ মে, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অন্তত ১০টি রোগের বিপরীতে সরকার টিকা দিয়ে আসছে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বর্তমানে ৯৫ শতাংশ শিশু টিকার আওতায় এসেছে। যা ২০০১ সালেও ৫২ শতাংশ ছিল। আর নারীদের মধ্যে টিকার হার ৮০ শতাংশ। টিকাদানের এই সফলতায় মাতৃ ও শিশু মৃত্যু কমেছে।

আজ রোববার দুপুর ১২টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,‘প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বিশ্বব্যাপী পালিত হয়েছে টিকাদান সপ্তাহ। বাংলাদেশেও প্রতি বছর সাড়ে দুই কোটি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়ে থাকে। এসব টিকা ১০টিরও বেশি রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। টিকায় আমাদের অনেক সফলতা আছে, সফলতার স্বীকৃতি পেয়েছি অনেক। বড় স্বীকৃতি হলো প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। এই টিকার কারণেই আমরা এসডিজি অর্জন করেছি। টিকার কারণে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হারও কমেছে। টিকা এখানে বড় অবদান রেখেছে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশের মানুষ টিকার প্রতি আগ্রহী, তারা খুবই আনন্দের সাথে টিকা নেয়। আমাদের মায়েরা শিশুদের টিকা দিতে আগ্রহী। তারাই আমাদের টিকাদানে সফলতার পেছনের বড় কারণ হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছাও বড় কারণ। এই কার্যক্রমে বিরাট একটা লজিস্টিক সাপোর্ট লাগে যা সরকার দেয়। টিকাদানের সময়ে অন্যান্য কাজ-কর্মও আমরা করে যাচ্ছি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় বিশ্বে ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছে, ৭০ কোটি লোক আক্রান্ত হয়েছি। ৩৬ কোটি টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। টিকা দেওয়ার কারণেই আমাদের দেশে মৃত্যুর হার কম ছিল।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে প্রায় ৭০০টি স্থায়ী ও ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রের মাধ্যমে শিশু ও নারীদেরকে সরকারিভাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ১০টি মারাত্মক সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে জীবন রক্ষাকারী টিকা প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়া আরও কয়েকটি টিকা অচিরেই নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে যুক্ত হতে চলেছে, যার মধ্যে এইচপিডি টিকা অন্যতম যার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের নারীদের জরায়ুমুখের ক্যান্সারের মত দুরারোগ্য ব্যাধি হতে সুরক্ষা প্রদান করতে পারব।

 

এদিকে দেশে গত কিছুদিন যাবৎ বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। যেখানে এ বছর এখন পর্যন্ত হাজারের মত মানুষ আক্রান্তের পাশাপাশি ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমতাবস্থায় ডেঙ্গু সংক্রমণ নিয়েও সতর্ক করেছেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশার কামড় থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাসা বাড়ির ছাদ, আঙিনায় যেন পানি জমে না থাকে, সেই খেয়াল রাখতে হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মুহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. বরদান জুং রানাসহ আরও অনেকে।

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews