1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

কেরানীগঞ্জে ৯৮ ভরি স্বর্ণ ডাকাতি, কনস্টেবল ও তার স্ত্রীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩
  1. কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ৯৮ ভরি স্বর্ণ ডাকাতি মামলায় স্ত্রীসহ পুলিশ কনস্টেবল মুন্সী মো. কামরুজ্জামান ওরফে লিংকন ও তার
স্ত্রীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।  গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
বুধবার (১৫ মার্চ) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক অলোক কুমার দে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হলেন, লালবাগ থানার পুলিশ কনস্টেবল কামরুজ্জামান, তাঁর স্ত্রী নাহিদা নাহার, মো. শফিকুল ইসলাম, উত্তম চন্দ্র মজুমদার, মো. শরীফুল ইসলাম, মো. নজরুল ইসলাম, উত্তম পাল, মো. জাকির হোসেন, মো. রহমান সরদার, আনন্দ পাল ও দুলাল চন্দ্র পাল।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক অলোক কুমার দে বলেন, ৯৮ ভরি স্বর্ণ ডাকাতির মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে পুলিশ কনস্টেবল কামরুজ্জামান ও তার স্ত্রীসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কামরুজ্জামানের স্ত্রীর কাছ থেকে ৩৬ ভরি স্বর্ণসহ মোট ৫১ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়, যা আদালতের মাধ্যমে বাদীর জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এ মামলার অভিযোগ সাক্ষীরা আদালতে প্রমাণ করবে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে,ভুক্তভোগী তার দোকানের কর্মচারী বরুন ঘোষকে দিয়ে ছয় মাস আগে থেকে বিভিন্ন সময় গলানো স্বর্ণ কারখানায় আনা-নেওয়ার কাজ করে। ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জনি টাওয়ার-সংলগ্ন সাজেদা হাসপাতালের গলি রাস্তায় গেলে দুজন সিভিল ও দুজন মহানগর পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় তার সামনে আসে। তখন তারা বরুনকে বলে, তার কাছে অবৈধ মাদকদ্রব্য আছে।
অভিযুক্তরা বরুনকে তাদের সঙ্গে যেতে বলে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। গাড়িতে তুলে তাকে কিলঘুষি মেরে আহত করে এবং তার প্যান্টের ভেতরে ডান কোমরে বাঁধা কালো কাপড়ে রাখা দোকানের ৯৮ ভরি স্বর্ণ ও তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর তারা বরুনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চুপ থাকতে বলে। চিৎকার-চেঁচামেচি করলে জানে মেরে ফেলবে বলে তাকে হুমকি দেয়। অভিযুক্তরা বরুনকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল প্রজেক্টের রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, পুলিশ কনস্টবল মুন্সী মো. কামরুজ্জামান ও অভিযুক্ত আনন্দ পালকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত উত্তম পালের বাসা থেকে ৯ ভরি আট আনা স্বর্ণ, অভিযুক্ত দুলাল পালের বাসা থেকে পাঁচ ভরি ১৪  আনা স্বর্ণ জব্দ করা হয়।
পরে অভিযুক্ত সুমনের কাছে লুণ্ঠিত স্বর্নালংকার বিক্রয়ের আট লাখ, উত্তম মজুমদারের কাছে থেকে চার লাখ টাকা ও মো. শরীফের কাছে থেকে স্বর্ণালংকার বিক্রির নগদ তিন লাখ টাকা জব্দ করা হয়। অভিযুক্ত মো. রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার কাছে থেকে মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews