গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৬৫ মিনিটের মাথায় রোনালদোকে তুলে নেন কোচ। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা। ক্যামেরায় সে সময় রোনালদোকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে তুলে নিতে তার তর সইছে না।’
পর্তুগিজ কোচও সাফ বলে দেন, ‘রোনালদো যে অধিনায়ক থাকবেনই, এমন কোনও কথা নেই।’ এই আবহেই শেষ ষোলোর লড়াইয়ে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ডিফেন্ডার পেপেকে অধিনায়ক করে দল ঘোষণা করে পর্তুগাল। রোনালদোকে রাখা হয় সাইডবেঞ্চে।
এই ম্যাচে রোনালদোকে ৭৩ মিনিটে বদলি হিসেবে নামান সান্তোস। তার আগেই পর্তুগাল ম্যাচে এগিয়ে গেছে ৫-১ ব্যবধানে। শেষটা করে ৬-১ গোলের বিশাল জয়ে। সান্তোসের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাই কেউ প্রশ্ন তুলেননি তখন।
আর সেই সাহস থেকেই কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর বিপক্ষেও একই কাজ করেন পর্তুগাল কোচ। রোনালদোকে রাখেন সাইডবেঞ্চে। এবার আর ফাটকা কাজে লাগেনি।
গত বিশ্বকাপে মরক্কোর বিপক্ষে এই রোনালদোই গোল করে জিতিয়েছিলেন দলকে। তাকেই কিনা কোচ বসিয়ে রাখলেন কোয়ার্টার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে! পর্তুগাল এবার আর জিততে পারলো না, ১-০ গোলের হারে বিদায় হয়ে গেলো বিশ্বকাপ থেকেই।
রোনালদো গত বিশ্বকাপে মরক্কোর বিপক্ষে গোল করেছিলেন ৪ মিনিটের মাথায়। সেই রোনালদোকে এবার নামানো হলো ৫১ মিনিটে বদলি হিসেবে, পর্তুগাল ততক্ষণে অনেকটাই কোণঠাসা।
সেই কোণঠাসা অবস্থা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পর্তুগিজরা। ফলে শেষ বিশ্বকাপ খেলতে এসে রোনালদো কী করতে পারলেন এই প্রশ্নটা যতটা না উঠছে, রোনালদোর মতো কিংবদন্তির সঙ্গে কী করা হলো, তার চেয়ে বেশি উঠছে সেই প্রশ্নটা।
Leave a Reply