যে কোন দুর্যোগ যেমন, প্রবল ঘূর্ণিঝড়-বৃষ্টিতে যদি মানুষের জন জীবনের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে কিংবা ফসল নষ্ট হয় কিংবা চলাচলের রাস্তা-ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়, তবে সে অবস্থায় প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া করতেন- ‘আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা।’ (বুখারি)
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাদের থেকে (ঘূর্ণিঝড়, বৃষ্টি) ফিরিয়ে নাও, আমাদের ওপর দিয়ো না।’
জোরে বাতাস প্রবাহিত হলে বিশ্বনবী (সা.) এ দোয়া পড়তেন- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এর কল্যাণটাই কামনা করি। এবং আপনার কাছে এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই। (আবু দাউদ, ইবন মাজাহ)
বৃষ্টির ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে মহানবী (সা.) দোয়া করতেন তা এখন আমাদের অনেক বেশি বেশি করা প্রয়োজন।
হাদিসে এসেছে হজরত মা আয়েশা (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) বৃষ্টি নামতে দেখলে বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা সাইয়িবান নাফিয়া’ অর্থাৎ হে আল্লাহ, উপকারী বৃষ্টি আমাদের ওপর বর্ষণ করুন।’ (বোখারি)
আবু দাউদের বর্ণনায় রয়েছে, মহানবী (সা.) বলেছেন, বৃষ্টির সময় করা দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না।’
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মেঘ-বৃষ্টির ক্ষতি ও ভয়াবহতা থেকে হেফাজত থাকতে তাসবিহ তাহলিল ও দোয়া পড়তেন। যাতে মেঘ-বৃষ্টি ও বজ্রপাতের ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয়।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বৃষ্টির ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকতে এ দোয়া পড়তেন-আল্লাহুম্মা হাওয়াইলানা ওয়া লা আলাইনা; আল্লাহুম্মা আলাল আকামি ওয়াল ঝিবালি ওয়াল উঝামি ওয়াজ জিরাবি ওয়াল আওদিয়াতি ওয়া মানাবিতিশ শাজারি।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের আশে-পাশে বৃষ্টি বর্ষণ কর। আমাদের ওপরে করিও না। হে আল্লাহ! টিলা, পাহাড়, উচ্চভূমি, মালভূমি, উপত্যকা এবং বনাঞ্চলে বৃষ্টি বর্ষণ কর।’ (বুখারি)
Leave a Reply