দেশের পরিবার স্বজন ছেড়ে উন্নত জীবনের আশায় অবৈধ পথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছে যে দেশগুলোর মানুষ। সেসব দেশের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
দালালদের খপ্পরে পড়ে নিশ্চিত বিপদ জেনেও ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইউরোপের পথে পা বাড়াচ্ছেন তারা। সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব তাদের অনেকেই। মৃত্যুর চ্যালেঞ্জ নিয়ে অনেকেই সাগরে ডুবে মারা যাচ্ছেন। আর যারা ভাগ্যগুণে বেঁচে যান, তাদের ঠাঁই হয় জেলের অন্ধকার খুপড়িতে। বিদেশে যাওয়ার জন্য এমন প্রাণহানি বা বন্দিদশা এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে হচ্ছে তাদের স্বপ্নের সলিল সমাধি।
লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়া অভিবাসন প্রত্যাসীদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। সব মিলিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবৈধ পথে ইতালিতে এসেছেন দুই লাখ ২৮ হাজার ২৪০ জন। এই সংখ্যা গত ছয় বছরে সর্বোচ্চ।
ইউরোপের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর এক লাখের বেশি অভিবাসী পাড়ি দিয়েছেন পশ্চিম বলকান দিয়ে। এই পথে আসা নাগরিকদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সিরিয়া, আফগানিস্তান ও তুরস্কের নাগরিক। এরপর মধ্য ভূমধ্যসাগর হয়ে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী পাড়ি জমিয়েছেন ইতালিতে। এ তালিকায় শীর্ষে আছেন বাংলাদেশিরা। এর পরে রয়েছেন তিউনিশীয়, মিশরীয় নাগরিক। মূলত লিবিয়া ও টিউনিশিয়ার উপকূল থেকে নৌকা নিয়ে বিপজ্জনক উপায়ে এই পথে ইটালিতে আসেন তারা।
এই পরিসংখ্যানে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে ইইউতে আশ্রয় নেওয়াদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফ্রন্টেক্সের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকে এক কোটি দশ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয় নাগরিক ইইউতে প্রবেশ করেছেন।
Leave a Reply