ঢাকার কেরানীগঞ্জে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে মাসুম (৩০) নামের এক যুবককে হত্যা করেছে বন্ধু জহিরুল ইসলাম অপু। এ ঘটনায় অপু ও তার সহযোগী রাসেলকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা পারগেণ্ডারিয়া সাতপাখি কানাপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুম মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার নুর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে। তিনি তার মাকে নিয়ে ওই এলাকার লোকমান মোল্লার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাসুম ও অপু বন্ধু ছিলেন। তারা দুজনে পারগেণ্ডারিয়া বড়ইতলা এলাকায় একটি ডক-ইয়ার্ডে রং মিস্ত্রির কাজ করতেন। মাসুম ও অপু এবং তাদের সহযোগী রাসেল মাদক ব্যবসাও করতেন। এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মাঝে বিরোধ চলছিল বলে জানা যায়।
নিহত মাসুমের বড়ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি পাশের বাসায় ভাড়া থাকি। আমার ভাইয়ের বাসা থেকে মায়ের চিৎকার শুনে জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি আমার ভাইকে অপু ছুরিকাঘাত করছে। দ্রুত ভাইয়ের বাসায় এসে অপুকে ধরে ফেলি। অপু আমাকেও ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করে। পরে এলাকার লোকজন ছুটে এসে অপুকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। আমার ভাইকে গলাকাটা ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল নিয়ে গেলে সে মারা যায়। আমার ভাইয়ের হত্যায় জড়িতদের ফাঁসি দাবি করছি।’
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান জানান, আজ সকালে পারগেণ্ডারিয়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মাসুম নামে এক যুবককে খুনের ঘটনা ঘটেছে। খুনের ঘটনায় জড়িত জহিরুল ইসলাম অপু ও রাসেল ওরফে নয়া রাসেল নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply