কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : কেরানীগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে নীলা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে দুই শিশু সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বাশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে স্বামী হামিদুল ইসলাম, শ্বাশুরী ইয়াসমিন বেগম, ননদ বুবলী আক্তার ও নগদের স্বামী রাজু আহমেদের বিরুদ্ধে শনিবার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। নীলা আক্তারের বাবা মো: শাহীন বলেন, শুভাঢ্যা উত্তরপাড়ায় আমাদের বাড়ি।
৭ বছর পূর্বে প্রতিবেশী হাতেম আলীর পুত্র হামিদুল ইসলাম ফুসলিয়ে আমার মেয়েকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই হামিদুল যৌতুক দাবি করে আসছে। এক পর্যায়ে আমরা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তাকে দুই লাখ টাকা দেই। কিন্তু সে পুনরায় যৌতুক দাবি করে। দাবি মেটাতে না পারায় প্রায় দিনই হামিদুল নীলার উপর শাররীক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে আমরা জানতে পারি হামিদুল ইয়াবাসক্ত। বাড়ির ভাড়াটিয়া এক নারীর সঙ্গে তার পরকীয়া রয়েছে। নীলা আক্তার বলেন, আমরা যে ঘরে বাস করি, হামিদুল সেখানে বসেই বন্ধুদের নিয়ে ইয়াবা সেবন করে। আমি বাধা দেয়ায় সে কয়েকবার আমার মাথা ফাটিয়েছে। মাথায় ৫টি সেলাই হয়েছে। এর কয়েক দিন পর সে আমাকে মারধর করে ডান চোখের পাশে রক্তার জখম করেছে। সেখানে ৩টি সেলাই দিতে হয়েছে। সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর রাতে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের ৫ লাখ এনে দিতে বলে। অপারগতা প্রকাশ করলে শ্বাশুড়ী, ননদ ও ননদের স্বামীর সহযোগিতা নিয়ে হামিদুল আমাকে প্রচন্ড মারধর করে।
এক পর্যায়ে হামিদুল চাকু দিয়ে আমার বাম হাতে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে বাবার বাড়িতে এসে মিটফোর্ড হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেই। হাতে ৫টি সেলাই দিতে হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে নীলা আক্তারকে নির্যাতনের প্রমান পাওয়া গেছে। স্বামীর চাকুর আঘাতে তার বাম হাতে ৫টি সেলাই দিতে হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply