শরীয়তপুরের ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শ্রী রথি কান্ত মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ওই শিক্ষকের বিষয় জানাতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকার স্থানীয় দুই সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারধর ও হুমকি দিয়েছেন। এমন একটি মোবাইলে কথপোথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর দেওয়া অডিও ক্লিপ ও দুই সাংবাদিক জানিয়েছে, অভিযুক্ত রথি কান্ত মিস্ত্রী ওই স্কুলের কৃষি শিক্ষা ও স্কাউট বিষয়ক সহকারী শিক্ষক। সেই সুবাদে তিনি স্কাউটিং প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার স্কাউটদের সাপ্তাহিক মিটিং ছিল। কোন কারণ ছাড়াই তিনি সে মিটিং বাতিল করে দেন। পরে গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে বলে ওই ছাত্রীকে স্কুলের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। তারপর সেখানে ওই ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন রথি কান্ত মিস্ত্রী।
এই বিষয়টি শিক্ষার্থীরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকারের জানালে তিনি বিষয়টিকে ধামাচাঁপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক রথি কান্ত মিস্ত্রীর বক্তব্য নিতে স্থানীয় দুই সাংবাদিক ওই স্কুলে যান। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে ফোন রিসিভ করেনি।
এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকেদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন ও তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে ওই প্রধান শিক্ষক এক সাংবাদিকের মুঠোফোনে কল করে তাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, মারধর ও হুমকি দেন।
ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। দুই সাংবাদিককে হুমকির বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন হিরু ও আশিকুর রহমান হৃদয়।
প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকার বলেন, ‘অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারপরেও দুই সাংবাদিক আমাকে বিরক্ত করতো। তাই গালিগালাজ করেছি।’
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শ্রী শ্যামল চন্দ্র শর্মা বলেন, ‘আমি ব্যাপারটি গতকাল শুনেছি। শিক্ষক যে কাজটি করেছেন তা অনেক অন্যায় কাজ করেছেন। আমি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করবো। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’
Leave a Reply