প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সংলাপে না এলেও বিএনপির জন্য অপেক্ষা করবেন তারা। বুধবার সকালে নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে সিইসি এ কথা বলেন। তবে আজ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত সংলাপে বিএনপি অংশ নেয়নি।
এদিকে, বিএনপি সাফ জানিয়েছে, নির্বাচনকালীন সরকার পরিবর্তন না হলে কমিশনের সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে গত ১৭ জুলাই থেকে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন।
সংলাপের চতুর্থ দিনে বুধবার তিনটি দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ হওয়ার কথা থাকলেও ন্যাপ তাদের সময় পরিবর্তন করেছে। বেলা ৩টায় ছিল বিএনপির সঙ্গে কমিশনের সংলাপ। তবে বিএনপি সংলাপ বর্জন করায় এদিন শুধু গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে সংলাপ করে ইসি।
গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে সিইসি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে।
বিএনপি সংলাপে আসছে না- এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, আমরা ওয়েট করব।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো পার্টি সংলাপে অংশ নিয়েছে, তাদের সকলের মনোভাব ইতিবাচক। ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে বলেছেন তারা। ইসিও তাদের এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে।
সিইসি আরো বলেন, আমরাও বলেছি সত্যিকার অর্থে এটিই আমাদের একমাত্র দায়িত্ব যে প্রত্যেকটা ভোটার যেন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এটাই গণতন্ত্রের ভিত্তি। এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
সিইসি বলেন, আমরা বলেছি আমরা আমাদের প্রয়াস অব্যাহত রাখব। এ বিষয়ে কেউ না করেনি; প্রয়াসটি অব্যাহত থাকবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, ঐক্যটা আমাদের নয়, আমরা রাজনৈতিক দলগেুলোকে বলেছি, আপনারা ঐক্যের চেষ্টা করুন এবং ঐক্য হলে আমরা আনন্দিত হব।
নির্বাচন কমিশনের ডাকা চলমান সংলাপে বিএনপি না এলেও তাদের জন্য অপেক্ষা করবেন বলে জানায় সিইসি।
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপিকে ছাড়া দেশে কেউ নির্বাচন করতে পারবে না।
চার দিনে ১৪টি দলকে ইসি আমন্ত্রণ জানালেও সাড়া দিয়েছে ১১টি রাজনৈতিক দল। বিএনপি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ এবং কল্যাণ পার্টি ইসির ডাকা সংলাপ বর্জন করেছে।
Leave a Reply