ঢাকার কেরানীগঞ্জে একই কারখানার শ্রমিকের ছুরিকাঘাতে রমজান মিয়া(১৪) নামের কিশোরের হত্যাকারী শামীম(২০)কে গ্রেপ্তার করেছে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)।
মঙ্গলবার(২১শে জুন) গভীর রাতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শরীয়তপুরের জাজিরা থানার স্বরূপ বাবুরচর এলাকা থেকে শামীম কে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার(২২শে জুন) সিআইডির পক্ষ থেকে এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানানো হয়, পত্রপত্রিকায় হত্যা সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর নিউজ দেখার পর মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে সিআইডি। মামলার তদন্তে শামীম নিজেই অন্য বন্ধুদের সহায়তায় রমজানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে এমনটি নিশ্চিত হওয়ার পর শামীম কে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকে।
এরই এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামীম স্বীকার করেছে,সে প্রায় ছয় মাস এবং রমজান একমাস যাবৎ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আগানগর আলীমউল্লাহ মার্কেটের ৬ষ্ঠ তলায় রতন মাতুব্বরের মালিকানাধীন “রাফিয়া থ্রেড ফ্যাক্টরী”তে মেশিন অপারেটর হিসেবে কাজ করতো। অল্পদিনেই রমজান মেশিন চালায় দক্ষ হওয়ায় প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে চরকুতুব ব্রিজের উপর নিয়ে দুই বন্ধুর সহায়তায় তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
এর আগে গত ৬ই জুন রমজানকে ছুরিকাঘাতের পর স্থানীয়দের সহায়তায় মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১১ই জুন রমজানের বড় ভাই শাকিব বাদী হয়ে শামীমকে প্রধান আসামি করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এরপর ১৩ ই জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমজান হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে। ১১ই জুন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হওয়া মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই হাসান জানান, ১৩ই জুন ছেলেটি মারা যাওয়ার পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।
আমরা আসামি গ্রেপ্তারে কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি কিন্তু আসামি গ্রেপ্তার করতে না পারায় পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটির সিআইডি তদন্ত করছে। আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে শুনেছি তবে কবে কখন কোথা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারবো না।
Leave a Reply