দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনেক নষ্ট হয়ে গেছে। এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত না থাকলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হা্বিবুল আউয়াল।
রোববার দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও শীর্ষ নির্বাচন কর্মকর্তা এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সাথে সংলাপে একথা বলেন সিইসি।
এসময় তিনি বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে পারলে নির্বাচন সুষ্ঠ হবে। আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আগামীতে আরও ভালো নির্বাচন করার চেষ্টা করবো। আমরা নানানভাবে চেষ্টা করবো সবগুলো নির্বাচন সফল করতে।
এছাড়া, কুমিল্লায় নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এমপি বাহারের বিরুদ্ধে চিঠি দেয়া ছাড়া ইসি কিছু করতে পারেনি বলেও মন্তব্য করান তিনি। তবে, ইসি চিঠি দেয়ার পরও নির্বাচনি এলাকা ছাড়ছেন না কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
ইসির নির্দেশনা পাওয়ার পরও একজন সংসদ সদস্য এটাকে অনার না করলে কমিশনের তেমন কিছু করার নাই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এসময় সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা বলেন, ইসি কখনো একা কিছু করতে পারবেনা, এক্ষেত্রে নির্বাচনকালীন সরকারের আচরণও গুরুত্বপূর্ণ।
ইসির কাজ কঠিন তবে অসম্ভব বলে কিছু নেই বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, সব দলের অংশগ্রহণ একমাত্র চ্যালেঞ্জ,তা না আন্তর্জাতিক ভাবে গ্রহণযোগ্য হবেনা।
এছাড়া পুলিশের কার্যক্রম কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে। নির্বাচনের সময় জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসির অধীনো আনার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
এ দিন সকালে হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সংলাপ শুরু হয়। এতে যোগ দেন সাবেক সিইসি বিচারপতি মো. আব্দুর রউফ, ড. এ টি এম শামসুল হুদা ও কে এম নূরুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ, সাবেক সচিব মোহাম্মদ সাদিক, জেসমিন টুলি ও মো. আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) গত মার্চ মাস থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সংলাপ করে আসছে।
Leave a Reply