“যাদের অবদানে সমৃদ্ধ তৃণমূল সাংবাদিকতা” এমন ৬৪ জন গুণী সাংবাদিককে বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১ প্রদান করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। অধ্যাপক ড: গোলাম রহমানের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি জুরিবোর্ড সারাদেশের ৬৪ জেলার তৃণমূল সাংবাদিকদের মধ্য থেকে প্রতিটি জেলায় একজন করে সাংবাদিক বাছাই করে। এতে ঢাকা জেলা থেকে তৃণমূল সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য কেরানীগঞ্জের কৃতিসন্তান দৈনিক ভোরের কাগজের কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ শফিক চৌধুরী কে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সোমবার (৩০শে মে) সন্ধ্যা সাতটায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় স্থাপিত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি মিলনায়তনে সংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে এক জমকালো অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণার পরে প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড.হাসান মাহমুদ উপস্থিত থেকে দেশ সেরা গুনি এই সাংবাদিকদের হাতে নগদ ১ লাখ টাকা, সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম সহ দেশের গণ্যমান্য বুদ্ধিজীবী ও বিশিষ্ট নাগরিকদের উপস্থিত ছিলেন।
সম্মাননা শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিক মোঃ শফিক চৌধুরী বলেন,‘ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার মতো ছোট্ট এক মফস্বল শহরের একজন ক্ষুদ্র সংবাদকর্মী হিসেবে আমাকে দেশের বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ যে এভাবে অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করবে তা কখনো কল্পনাতেই ছিল না। শুধু কি ঢাকা জেলায় সমস্ত বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ৬৪ জন প্রবীণ সাংবাদিকদের এ অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্সানিত করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
এ অ্যাওয়ার্ড মফস্বল সাংবাদিকতায় অবহেলিত সাংবাদিকদের আশার আলো দেখাবে। আগামি প্রজন্মরে কাছে এ অ্যাওয়ার্ড আরো উৎসাহিত হবে সৎ ও বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকতার পথ দেখাবে। এ সন্মননার ধারা কর্তৃপক্ষ অব্যাহত রাখবেন এমনটাই প্রত্যাশা। এজন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন’।
উল্লেখ্য: মোঃ শফিক চৌধুরী ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার জিনজিরা ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামের চৌধুরী পরিবারের কৃতিসন্তান । তিনি ১৯৭৭ সালে দৈনিক সমাচার পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সুনামের সাথে কাজ করেছেন। তিনি ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত কেরানীগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন তিনি।
Leave a Reply