ঢাকার কেরানীগঞ্জে নিবন্ধনবিহীন অবৈধভাবে পরিচালিত তাজ জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেড নামে একটি ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করে সেখান থেকে একজন ভূয়া ডাক্তারকে আটক ও প্রতিষ্ঠান টি বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার(২৯শে মে) দুপুরে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় কালন্দি বাস রোড এলাকার এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এতে বিএমডিসির নিবন্ধন ছাড়া ডাক্তারী কার্যক্রম পরিচালনা করায় আতিকুল হক নামের ভূয়া ডাক্তার কে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষনা করেন। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অবৈধ ক্লিনিকগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৭২ ঘন্টার মধ্যে অনিবন্ধিত হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে , তার অংশ হিসেবে কেরানীগঞ্জে সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যাদের বৈধ কাগজপত্র থাকবেনা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, কেরানীগঞ্জে নিবন্ধিত মোট ৪২ টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এদের ৩৪টি প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র হালনাগাদ করা আছে। বাকি ৬ প্রতিষ্ঠানের কোন কাগজপত্র নেই। ২ টির লাইসেন্স নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন। ৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তাজ জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেড অর্ন্তভূক্ত। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এর মালিক আতিকুল হক নামের ভূয়া ডাক্তার কে আটক করে ৬ মাসের কারাদন্ডের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
রবিবার মোট ৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিলগালা করা হয়েছে।
Leave a Reply