অর্থ আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ৪ সদস্যের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। জেল গেটে একদিন করে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদেরও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বিকালে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ আদেশ দেন। এ মামলায় কারাগারে প্রেরিত আসামিরা হলেন এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান।
উচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে আগাম জামিন আবেদন খারিজের পর রোববার রাত ১১ টার পরে হাইকোর্ট থেকে প্রিজন ভ্যানে করে তাদেরকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সোমবার দুপুরে আদালতে হাজির করে তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে দুদক। অপরদিকে আসামিপক্ষে ডিভিশন চাওয়া হয়। ডিভিশনের বিষয়ে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। আসামিদেরকে ৭ দিনের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করার কথাও জানিয়েছে আদালত।
গত ৫ মে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
কারাগারে প্রেরিত চারজন বাদে মামলার বাকি দুই আসামি হলেন, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ ও আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিন মো. হিলালী।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে গত বছর মামলা করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্যাম্পাসের জমি কেনার নামে ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাৎ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতের টাকা দিয়ে ১০টি বিলাসবহুল গাড়ি কেনা হয়। অনিয়ম টের পেয়ে সেই গাড়ি বিক্রির নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা বৈঠকে অংশ নিয়ে ১ লাখ টাকা করে সম্মানি নিতেন। পরে তা কমিয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। অপ্রয়োজনে বিদেশ ট্যুরের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের সম্মানি নির্দিষ্ট না থাকলেও সহনীয় রাখার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু তারা কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে চালিয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা।
কমিশন আরো বলছে, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চড়া ফি নিচ্ছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। তা কমানোর নির্দেশ দিচ্ছে ইউজিসি।
Leave a Reply