বাথরুমে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে ধারণ করে আপত্তিকর ভিডিও ধারন। পরে সেসব ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে আসছে একটি চক্র। সম্প্রতি নওগাঁ ও ঢাকা থেকে এ চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
গ্রেপ্তারের পর ডিবি জানিয়েছে, প্রথমে সাবলেট ভাড়া নিয়ে তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক তৈরী করে। পরে কৌশলে সেসব রুমের বাথরুমে ক্যামেরা বসিয়ে গোপন ভিডিও ধারন করে চক্রটি। ৩ বছর ধরে অন্তত ২০ জনের কাছ থেকে তারা হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক লাখ টাকা।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সরকারি এক কর্মকর্তার ইমো নম্বরে একটি স্ক্রিনশট আসে। এতে দেখা যায় তার স্ত্রীর আপত্তিকর দৃশ্য। সেটির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চাওয়া হয় ৮০ হাজার টাকা। কিছু টাকা পাঠালেও মুক্তি মেলে না এই দম্পতির।
প্রথমে সাধারণ ডাইরি, পরে করেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা। তদন্তে নেমে ডিবির সাইবার বিভাগ নওগাঁ ও ঢাকায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি জানতে পারে, এরা মূলত প্রথমে সাবলেট হিসেবে বাড়ি ভাড়া নেয়। এরপর পাশের রুমের ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে বাথরুমে ক্যামেরা স্থাপন করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে। এরপর সেই ভিডিও পাঠিয়ে টাকা দাবি করে।
আটককৃতদের ফোন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ৩ বছর ধরে এ কাজ করছে তারা। এমন ঘটনা এড়াতে সাবলেট দেয়ার আগে ভাড়াটিয়াদের তথ্য যাচাইয়ের পরামর্শ ডিবির।
Leave a Reply