ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে আবারো বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বাংলাদেশেও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রোববার জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে নিপসম মিলনাতনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
এসময় তিনি জানান, “ভারতে নতুন করে আবারও সংক্রমণ বাড়ছে, ওই দেশে যারা যাতায়াত করছে, তাদের দিকে নজর দিতে হবে। তবে, আগ্রহ কমে যাওয়ায় অনেক মানুষ এখনো করোনা টিকা নেয়নি।”
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই নিয়ন্ত্রণে আছে করোনা। তবে কয়েকটি দেশে নতুন করে বাড়ছেও। তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, চীন ও ভারতে কয়েকদিন ধরে বাড়ছে সংক্রমণ। ভারতে প্রতিদিন আড়াই হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে এক হাজারের কম ছিল।
ভারতের স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ২ হাজার ৫৯৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের। শনিবার শনাক্ত হয়েছিল ২ হাজার ৫২৩ জন কোভিড রোগী, মৃত্যু হয় ৩৩ জনের।
গত ১৮ এপ্রিল পর্যন্তও ভারতের দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল দেড় হাজারের নিচে। নতুন করে সংক্রণ বাড়ায় উদ্বেগ বাড়ছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী এই দেশটিতে।
তবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। প্রতিদিন শনাক্তের সংখ্যা পঞ্চাশেরও কম। গত সাত দিনে মারা গেছে তিন জন। তবে প্রতিবেশি দেশে সংক্রমণ বাড়ায় সতর্ক থাকতে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালিক বলেন, দেশে এতদিন মহামারী ‘নিয়ন্ত্রণে ছিল’ বলেই খাদ্যের অভাব হয়নি। সংক্রমণ ‘নিয়ন্ত্রণে আছে’ বলেই অর্থনীতি এখনও সচল আছে।
‘প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা করেছেন বলেই সবাইকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। গত ১০ বছরে স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে।’
দেশের ১২ কোটি ৮৪ লাখ মানুষ করোনার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, যা মোট জনসংখ্যার ৭৫ ভাগ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন, টিকার পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তবে এখন অনেকের আগ্রহ কমেছে।
দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার মানুষের। মারা গেছে ২৯ হাজারের বেশি।
Leave a Reply