সংঘর্ষের পর থমথমে অবস্থার দুইদিন পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে নিউমার্কেট এলাকা। দোকান খুলেছে। ক্রেতাসমাগমও ছিল ভালো। কলেজের অবস্থাও একেবারে স্বাভাবিক।সোমবার নিউমার্কেটে দুটি ফাস্টফুডের দোকানের কর্মীদের দ্বন্দ্ব থেকে শুরু। যা পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের সাথে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ, শিক্ষামন্ত্রণালয়, পুলিশ এবং ব্যবসায়ী নেতাদের বৈঠকের পর এ বিষয়ে সমঝোতা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খুলতে শুরু করে নিউমার্কেট। দোকান মালিকরা বলছেন, এই দুইদিনে তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই ঘটনা যে দুটি দোকানকে কেন্দ্র করে, তাদের বিচার দাবি করেন তারা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় নিউমার্কেটে ক্রেতারা নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হওয়া ফাস্টফুডের দোকান ওয়েলকাম এবং ক্যাপিটাল এখনো বন্ধ। দোকান মালিক সমিতি বলছে, ঘটনার যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে বিচার না হওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ থাকবে। এদিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা হলে আছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছেন তারা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বলছে ,ঢাকা কলেজের শিক্ষক এবং ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। যারা এসব ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য কাজ করবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচসহ ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
এদিকে, নিউমার্কেটে ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা ও সদস্যদের ওপর হামলার অভিযোগে ঢাকা কলেজের অজ্ঞাত ৭ শতাধিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এছাড়াও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনেও আরেক মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩টি মামলায় মোট আসামি করা হয়েছে ১৪শর বেশি মানুষকে। এর আগে, বুধবার রাতে নিউমার্কেট থানায় সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত নাহিদের পরিবার বাদি হয়ে অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করে। মামলাটি পরে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। আর পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগে মামলায় ২৪ ব্যবসায়ী ও ছাত্রের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও আসামি করা হয়েছে ঢাকা কলেজের অজ্ঞাত ৬০০ থেকে ৭০০ ছাত্র এবং ২০০ থেকে ৩০০ ব্যবসায়ী-কর্মচারীকে।
আর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় অজ্ঞাত ১৫০ থেকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছে পুলিশ। এদিকে, নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী এবং ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মোরসালিন নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দুই। ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে পরিবার।
Leave a Reply