1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচির ঘোষণা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত পরিবারের পাশে ইউএনও কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী সাকুর হোসেন সাকু গ্রেফতার এবার ইজতেমায় থাকবে ড্রোন, প্রতি খিত্তায় দুজন ফায়ারফাইটার মিলেনিয়াম সিটি, শতরুপা হাউজিং ও মধু সিটি থেকে জলাশয় ও কৃষিজমি উদ্ধার সাবেক রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের তিন দিনের রিমান্ড ওয়াশিংটনে হেলিকপ্টারের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমানের সংঘর্ষে ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার ১ মাসে তৃতীয় বারের মতো স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা সোশ্যাল মিডিয়া নিয়েই বিপাকে মিজানুর রহমান আজহারী দলের নেতা কর্মীদের সতর্ক করে যা বললেন তারেক রহমান

১৬ এপ্রিল চলনবিলের ঐতিহ্যবাহী বারুহাস মেলা 

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২

সৌরভ সোহরাব, সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ প্রায় দেড়শত বছর আগে জমিদার আমলে গড়ে উঠা চলনবিলের ঐতিহ্যবাহী বারুহাস মেলা আগামী ১৬ এপ্রিল রোজ শনিবার। মহামারী করোনার কারনে গত ২ বছর বন্ধ থাকা পর এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ঐতিহ্যবাহী মেলা।

প্রতিবছর চৈত্র চন্দ্রিমার ১৩ তারিখে চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলা সদর হতে ১০ কিঃ পশ্চিমে এবং সিংড়া উপজেলা সদর হতে ১৬ কিঃ পুর্বে জমিদার খ্যাত বারুহাস বাজার চত্বরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার দিনব্যাপী মুল মেলা অনুষ্ঠিত হলেও মেলা শুরু হবে শুক্রবার বিকাল থেকেই। এ ছাড়া মুল মেলার পরের দিন রবিবার অনুষ্ঠিত হবে বউ মেলা। এ কারনেই স্থানীয়রা বারুহাস মেলার উৎসব ৩ দিনই মনে করেন।

মেলার আয়োজক সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ৭০ দশক থেকে ৯০ দশক সময়েও এ মেলার সুনাম ছিল উত্তর বঙ্গ জুড়ে। অনেক দুর দুরান্তের মানুষ মেলায় আসত। বগুড়া, শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও পাবনা সহ দুর দুরান্তের জেলা থেকে শৌখিন দর্শনার্থীরা মহিষ ও গরুর গাড়ীর বহর নিয়ে মেলায় আসতেন। মেলার এক পাশে তাবু টানিয়ে করতেন মেলার কেনা কাটা। সে সময় মুলত বারুহাস মেলা ছিল ২৫ থেক ৩০ গ্রামের মানুষের সব চেয়ে বড় উৎসব। মেলার ১ মাস আগে থেকেই চলতো নানা প্রস্তুতি। বাড়িতে লোক কুটুমকে দাওয়াত করা জামাই ঝি আনা, বাড়ি ঘরের লেপ মোচন, খৈ মুড়ি ভাজা সব মিলে মেলা বাসিরা ১ মাস আগ থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়তো। জামাইদের উপঢোকন বা পরবি দেওয়া ছিল এ মেলার সব চেয়ে বড় ঐতিহ্য। শশুড় বাড়ির পরবি পেয়ে জামাইরা মাছ,মাংস ও রঙিন হাড়িতে মিষ্টি কিনে শশুড় বাড়িতে ফিরতেন। এ জন্য সে সময় এ মেলা জামাই মেলা নামেও পরিচিত হয়ে উঠেছিল। ২০০০ সালের পর থেকে মেলার জৌলুস ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এখন মেলার জৌলুস একেবারেই কমে গেছে।

এক সময় ২৫ থেকে ৩০ গ্রামের মানুষের প্রাণের উৎসব ছিল বারুহাস মেলা। সেই মেলার উৎসব এখন শুধু বারুহাস গ্রাম কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। মেলার নির্ধারিত জায়গা সংকট, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব সহ নানা কারনে এ মেলার জৌলুস দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে একসসয় দেড়শত বছরের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখাই কঠিন হয়ে পড়বে। গ্রামীণ জীবনের এই লোকজ সংস্কৃতি আমাদের দেশের নিজস্ব সম্পদ । এটাকে টিকিয়ে রাখা সকলের দায়িত্ব।

লেখকঃ কলেজ শিক্ষক ও সাংবাদিক। সিংড়া,নাটোর।

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews