বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সুস্থভাবে আমরা রাজনীতি করতে চাই। কেরানীগঞ্জের মানুষগুলো একসঙ্গে বসবাস করতে চাই। আমরা হিন্দু সম্প্রদায় যেমন পূজার সময় পূজা করি, তেমনি মুসলমানরা নামাজের সময় নামাজ পড়ে। রাজনীতিতেও আওয়ামী লীগের কথা থাকলে মিটিং করবে, আমাদের সমালোচনা করবে। আমরা তার প্রতি উত্তর দিবো আরেকটি সভা করে। কিন্তু কারও সভা ভেঙ্গে নয়। ’
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন ।
শনিবার সকাল আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত জিনজিরা বাস রোডে সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ের পাশে তৈরী মঞ্চে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মরিনি। ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বরের হামলায়ও মরিনি। যারা এই হামলা করে তাদের দেখাতে চাই, মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলে মানুষ সম্মান করে। মানুষ একবারই মরে। আজকে এই কেরানীগঞ্জে এসেছি মরার জন্য। আওয়ামী লীগ লোকজন অথবা পুলিশেরও কারও কারও খায়েশ থাকে শার্টের বোতামগুলো খুলে দিচ্ছি। সরকারকে বলব, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমান, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিন। আমি গুলি খাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। ’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘গণমাধ্যমসহ সবাই বলে বাংলাদেশ থেকে মাত্র ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এই টাকা যদি পাচার না হতো, বাংলাদেশে বিনিয়োগ হতো। তাহলে অনেক শিল্পকলকারখানা হতো, কর্মসংস্থান হতো। আমাদের চাহিদা পূরণের পরও বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারতাম। আমাদের যুবক ভাইদের বৈধ অথবা অবৈধ উপায়ে বিদেশে যেতে হতো না। ভূমধ্যসাগরে পানিতে ডুবে মরতে হতো না। ’
জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থানীয় নেতা হাজী ওমর শাহ নেওয়াজ, আব্দুল মান্নান রতন, ইশা খান, যুবদলের মোকাররম হোসেন সাজ্জাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সোহেল রানা, মহিলা দলের নার্গিস হক, ছাত্রদলের পাভেল মোল্লা প্রমুখ।
Leave a Reply