ঢাকার সবচেয়ে পুরনো হলের অন্যতম ‘লায়ন’। তারই অংশ হিসেবে ঢাকার উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে স্থানান্তর করে (বাবুবাজার ব্রিজের ঢালের পশ্চিম পাশে ) গড়ে তোলেন আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে লায়ন শপার্স ওয়ার্ল্ড। আর এখানেই তিনি গড়ে তোলেন ‘লায়ন সিনেমাস’ মাল্টিপ্লেক্স। ঢাকা শহরের সংস্কৃতির অন্যতম অগ্রজ পৃষ্ঠপোষক কাদের সরদারের হাত দিয়ে গড়া প্রতিষ্ঠান ছিল এটি। পরবর্তীকালে উত্তরাধিকার সূত্রে এর মালিকানা চলে আসে একমাত্র ছেলে মির্জা আবদুল খালেকের হাতে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন আঙ্গিকে লায়নকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেন তিনি।
লায়ন সিনেমাসের কর্ণধার মির্জা আবদুল খালেক বলেন, ‘প্রায় শতবর্ষ ধরে আমরা সিনেমা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। পূর্বপুরুষ আর দর্শকের প্রতি দায় থেকে আমাদের ব্র্যান্ডকে আধুনিকায়নের চিন্তা থেকে এই মাল্টিপ্লেক্সের যাত্রা করতে যাচ্ছি। কারণ এ নামটির সঙ্গে পুরান ঢাকার আবেগ জড়িত। তাছাড়া মানসম্মত সিনেমা হলের প্রয়োজন সেই ভাবনা থেকে মাল্টিপ্লেক্স করেছি। মোটামুটি সব রেডি। তাই ওপেনিং করার আগে পরিবার-পরিজন নিয়ে ‘পুষ্পা’ সিনেমাটি দেখেছি। ভালো লাগলো। কিছু ছোটখাটো ঘঁষামাজা বাকি; এগুলো হলে আপাতত চিন্তা করেছি ৪ মার্চ ওপেন করব। তবে এটা সম্ভাব্য ডেট। তার আগে অবশ্যই গণমাধ্যমকে ফাইনাল ডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। জানা গেছে, আপাতত দুটো প্রেক্ষাগৃহ চালু হবে। বাকি দুটো মাস খানেক পর।
এ ব্যাপারে মির্জা খালেক জানান, বিশ্বায়নকে স্বীকার করে যেমন আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ সময়ের দাবি তেমনি এগুলো সচল রাখতে প্রচুর দেশি-বিদেশি সিনেমারও দরকার। অথচ বিদেশি ছবি আসতে বাধার পর বাধা; দেশি মানসম্মত ছবির অভাব। তাই বেশ চিন্তায় আছি।
Leave a Reply