বিরোধপূর্ণ জমি দখলে সহায়তা ও ঘুষ দাবির অভিযোগে নোয়াখালীর চাটখিল থানার ওসি আবুল খায়ের এবং দুই এএসআই-সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। রোববার চাটখিলের উত্তর বদলকোট গ্রামের আবদুল ওয়াহেদ নামের এক ব্যক্তি জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ আবেদন করেন।
আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোহাম্মদ সাফায়েত বাদীর আবেদনটি আমলে নিয়ে তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে বাদী অভিযোগ করেন, গত ১৩ জানুয়ারি চাটখিল উপজেলার বদলকোট মৌজার বিএস ১২৪৬ খতিয়ানের ১০২৮ দাগে তাঁর দখলীয় জায়গা প্রতিপক্ষ মো. শহিদুল্লাহ ও মো. পারভেজ দলবল নিয়ে দখল করতে আসেন। তিনি বাধা দিলে প্রতিপক্ষ তাকে হুমকি দিয়ে বলে তারা ‘থানা-পুলিশ কন্ট্রাক্ট করে এসেছে, কোন প্রকার বাধা দিলে এখানে লাশ পড়বে।’
এমন পরিস্থিতিতে তিনি জাতীয় ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। যার ভিত্তিতে চাটখিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াহেদ ঘটনাস্থলে গেলে দখলকারীরা পালিয়ে যান। পরে একই থানার দুই এএসআই জাকির হোসেন ও মো. সুমন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ৯৯৯ নম্বরে ফোন করায় নানা হুমকি-ধমকি দেন।
দুই এএসআইয়ের কথা অনুযায়ী কাগজপত্র নিয়ে থানায় গেলে তাদের রাত ১০টা পর্যন্ত থানায় বসিয়ে রাখা হয়। আর বিপরীতে প্রতিপক্ষকে রাতের অন্ধকারে জায়গা দখলের সুযোগ করে দেওয়া হয়। প্রতিপক্ষ জেনারেটরের আলোয় জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। রাতে বাড়িতে এসে দখলের ঘটনা দেখার পর পরদিন পুনরায় থানায় গেলে দুই এএসআই তাঁদের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।
তবে অভিযোগের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন চাটখিল থানার ওসি আবুল খায়ের। তিনি বলেন, মামলার আবেদনটি তিনি দেখেছেন। তবে বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে যান তিনি। তিনি আবদুল ওয়াহেদ নামের উল্লিখিত ব্যক্তিকে চেনেন না বলেও জানান।
পরে এএসআই জাকিরকে জিজ্ঞেস করার পর জেনেছেন, জায়গাজমি নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে বিরোধ। ওই বিরোধের জের ধরে ৯৯৯ নম্বরে এক পক্ষ ফোন করেছে, পরে তাদের বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর বেশি আর কোনো কথা হয়নি।
Leave a Reply