ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে আটকে আছে ফেলানী হত্যা মামলা। দীর্ঘ ১১ বছর পরও ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কায় স্বজনরা। দুই দফা বিচারে আসামি অমীয় ঘোষ খালাস পাওয়ায়, ভারতের সুপ্রিমকোর্টে ফেলানীর বাবার করা রিটের দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি উঠেছে।
বাংলাদেশ সরকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবাদে ফেলানী হত্যার ২ বছর পর ২০১৩ সালে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের বিচার শুরু হয়। ওই বছরই তাকে খালাস দেয় বিএসএফ এর বিশেষ আদালত। পরে ২০১৫ সালে পুনর্বিচারেও খালাস পান অমিয় ঘোষ।
ফেলানী হত্যার বিচার না হওয়ায় এখনও সীমান্ত হত্যা থামছে না বলে মনে করেন সীমান্তবাসী।
আইনজীবীরা বলছেন, রিট নিষ্পত্তি হলে ন্যায় বিচারের সম্ভাবনার পাশাপাশি সীমান্ত হত্যা বন্ধে আসতে পারে সুপ্রিম কোর্টের গরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা।
২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে ভারতীয় রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর গুলিতে নিহত হন ১৪ বছরের কিশোরী ফেলানি খাতুন। হত্যার পর সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে কাঁটাতারে ঝুলন্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয় ফেলানির লাশটিকে।
প্রতি বছর এই দিনটি ঘনিয়ে এলেই আতঙ্কে উদ্বেগে অস্থির হয়ে ওঠেন ফেলানির মা জাহানারা বেগম। নিজের চোখে ফেলানির বাবা নুরুল ইসলাম নুরু দেখেছেন সন্তানকে কাঁটাতারে ঝুলে থাকা অবস্থায় তিলে তিলে মরে যেতে।
এমন বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার চাইতে নিজের মৃত্যুকেই যেন আরও সহজভাবে মেনে নিতেন তিনি।
ফেলানির সেই ঝুলে থাকা লাশের ছবি নিয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় তোলে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাশটি ঝুলন্ত অবস্থায় রেখে দিয়ে বিএসএফ লাশটি সরিয়ে নেয়।
Leave a Reply