অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে ৭০ জন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও অনেককে উদ্ধার করে বিভিন্ন স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে দগ্ধের সংখ্যা আরও বাড়ার আংশকা রয়েছে।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার ৮নং গাবখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলের আশেপাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। লঞ্চটিতে প্রায় ৫০০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, লঞ্চে আগুনে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। আজ এক শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে, লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক ,বন্দর ও পরিবহন বিভাগ-কে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম জানান, বরগুনাগামী এমভি অভিযান ১০ লঞ্চে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লঞ্চের রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তে মধ্যে আগুন প্রথমে ইঞ্জিন রুম পড়ে পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়লে যাত্রী যে যার মতো করে নদীতে লাফিয়ে পড়ে।
লঞ্চের যাত্রী সূত্রে জানা যায়, আগুন লাগার পর অনেক যাত্রী প্রাণ বাঁচাতে লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়েছেন। এতে হতাহতের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করছেন লঞ্চে থাকা যাত্রীরা। বর্তমানে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ।
Leave a Reply