লঞ্চের মালিক ও মাস্টার গাফিলতির কারনে শতাধিক শিক্ষার্থীর বিসিএস পরীক্ষার জীবনে আশার আলো নিবিয়ে,অন্ধকার নামিয়ে আনার অভিযোগ উঠেছে তাসরিফ -২ লঞ্চের বিরুদ্ধে।
এ লঞ্চটি ভোলা-মনপুরা-হাতিয়া-ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী হিসেবে চলাচল করে। আজ বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ছিল। এসকল রুটে আসার পথে বিভিন্ন ঘাট থেকে প্রায় শতাধিক বিসিএস পরীক্ষার্থী উঠে। এ লঞএসব পরীক্ষার্থীর ঢাকার সদরঘাট পৌঁছাতেই সকাল প্রায় ১০টা বেজে যায়। ফলে তারা নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে পারেননি। অনেকেই পরীক্ষা দিতে পারেনি।
বিসিএস পরীক্ষার্থী আব্দুস সামাদসহ বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে তারা ভোলার মনপুরা লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে তাসরিফ-২ লঞ্চে ওঠেন। লঞ্চটি মনপুরা থেকে ছেড়ে ভোলার তজুমদ্দিন, হাকিমউদ্দিন, দৌলতখান ও সদরের ইলিশা বিশ্ব রোড ঘাটে ভিড়ে যাত্রী উঠিয়ে সন্ধ্যার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চে হাতিয়া, মনপুরা, তজুমদ্দিন, হাকিমউদ্দিন, দৌলতখান ও ভোলা সদরের শতাধিক বিসিএস পরীক্ষার্থী ছিলেন।
বিসিএস পরীক্ষার্থী সামাদ বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে চাঁদপুর জেলার কাছাকাছি পৌঁছে লঞ্চটি আবার ঘুরিয়ে হাকিমউদ্দিন লঞ্চঘাটে চলে আসে। হাকিমউদ্দিন ঘাটে যখন পৌঁছে তখন রাত ১২টার বেশি বেজে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে আমরা লঞ্চ স্টাফ ও সুপারভাইজারদের সঙ্গে কথা বলি। তখন তারা আমাদের বলেন, তাদের আরেকটি লঞ্চ তাসরিফ-৪-এ সমস্যা হয়েছে। আমরা ওই লঞ্চের যাত্রীদের নিতে এসেছি।
‘এসময় আমরা পরীক্ষার্থীরা বিষয়টির প্রতিবাদ করলে লঞ্চ স্টাফ ও সুপারভাইজার শুক্রবার সকাল ৭টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাটে পৌঁছে সকাল প্রায় ১০টার দিকে। পরে আমরা লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় না জড়িয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য দ্রুত লঞ্চ থেকে নেমে পড়ি। কিন্তু আমাদের পরীক্ষার্থীদের একেক জনের হল একেক স্থানে হওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেনি। পরে আমরা দুপুরের দিকে তাসরিফ-২ লঞ্চে উঠে লঞ্চের স্টাফ ও সুপারভাইজারদের সঙ্গে কথা বললে তারা আমাদের বিনা খরচে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।’
জানতে চাইলে তাসরিফ-২ লঞ্চের সুপারভাইজার মো. জামাল দোষ স্বীকার করে বলেন, হাকিমউদ্দিন ঘাটে আমাদের আরেকটি লঞ্চ তাসরিফ-৪ চরে আটকে যায়। ওই লঞ্চে অনেক বিসিএস পরীক্ষার্থী ও কয়েকজন গুরুতর রোগী ছিলেন। ওই লঞ্চটি সমস্যা হওয়ায় আমরা বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ ঘাট থেকে লঞ্চ ঘুরিয়ে হাকিমউদ্দিন ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দুপুরের দিকে পরীক্ষার্থীরা আমাদের কাছে এসে বলেন তারা বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারেননি। তবে আমরা তাদের বিনা পয়সায় গন্তব্যে পৌঁছে দেবো।
Leave a Reply