ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর কদমতলী খালপাড় এলাকায় নীলিমা বহুমুখী সমবায় সমিতি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকের টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার সকালে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের জমানো টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও সমিতির অফিস কক্ষে তালা দেখতে পায়। এতে তিন শতাধিক গ্রাহক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানেরর সামনে বিক্ষোভ করে। ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ তাদের জমানো টাকা ফেরত না দিয়ে কর্তৃপক্ষ প্রতারনা করেছে।
জানাগেছে, স্থানীয় মমিন মিয়া নামের এক ব্যক্তি নিজের তিনতলা বাড়ির নিচতলায় “নীলিমা” নামের একটি সমিতি খুলে। গত পাঁচ বছরের অধিক সময় যাবত নীলিমা বহুমূখী সমবায় সমিতি নামের প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিমাত্রায় মূনাফা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা জমা নিত। গতকাল সোমবার গ্রাহকদের সে টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকায় গ্রাহকরা প্রতিষ্ঠানের সামনে জড়ো হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানটিতে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়ে গ্রাহরা বিক্ষোভ করে।
সূচনা আক্তার নামের এক ভূক্তভোগী জানান, গত তিনবছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে ১লাখ ৮০হাজার টাকা জমিয়েছি। সে টাকা আজ ফেরত দেয়ার কথা কিন্তু এখন দেখি অফিস তালা বদ্ধ। এখন আমি কি করবো বুঝতে পারছিনা। সুচনা আক্তারের মত শম্পা,কনা, সুফিয়া বেগম, জামিল, আব্দুর রহমান সহ কয়েকজন জানান, এক হাজারের বেশী গ্রাহক আছে।
বিসস্থসূত্রে জানাগেছে, সমিতির মালিক মমিন মিয়ার বড় স্ত্রীর করা এক মামলায় তাকে পুলিশ আটক করেছে। সে কারণে অফিস বন্ধ রয়েছে। তবে কবে নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি খুলবে তা জানান যায়নি।
উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের পরিদর্শক মোঃ রফিক সূত্রে জানাযায়, এই প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা সমবায় অফিস থেকে রেজিষ্ট্রেশন নিয়েছে। রেজি: নম্বর ৩৪৭।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভুক্তভোগী গ্রাহকরা অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, এসব ক্ষেত্রে জনগনকে আরো সচেতন হতে হবে। কোথায় টাকা রাখছি, তার ব্যাকগ্রাউন্ড কি, অনুমোদন আছে কিনা? এগুলোা যাচাই করেই টাকা জমা দেয়া উচিত।
Leave a Reply