1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন

পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট্রের ‘ওয়েসিস’ এর যাত্রা শুরু

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানের মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্র ‘ ওয়েসিস এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।

আজ ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার  সকাল ১১ টায় উপজেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বসুন্ধরা রিভারভিউ প্রকল্পে এ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ও পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. বেনজীর আহমেদ এর সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডাঃজাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোঃ খুরশিদ আলম, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবদুস সবুর মন্ডল।কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ সহ আরো অনেক।

এসময় বক্তারা বাংলাদেশ পুলিশ কল্যান ট্রাস্টের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজীর আহমেদ বলেন,কোনো মাদকই বাংলাদেশে তৈরী হয় না। সব মাদকই পাশ্ববর্তী দেশগুলো থেকে বিভিন্ন উপায় দেশে ঢুকছে। এই মাদক থেকে পরিত্রাণের উপায় হচ্ছে আমাদের সমাজ থেকে মাদকের চাহিদা কমিয়ে আনতে হবে। যদি চাহিদা থাকে তাহলে কোনো ভাবেই সম্ভব না নিয়ন্ত্রণ করা। কারণ কোনো না কোনো ভাবে মাদক ঢুকবে চাহিদা থাকলে। সারা দেশের প্রায় ৮০লক্ষ মাদকাসক্তের জন্য দেশে বর্তমানে যে কয়টি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র আছে তা যথেষ্ট নয়।তাই পুলিশ এই মাদক নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্র করেছে।

স্বসরাস্ট্রমন্ত্রীবলেন, মাদকাসক্ত মানেই অপরাধী নয়, পরিবারের মাদকাসক্ত সন্তান একটি পরিবারের জন্য কতটুক পীড়াদায়ক তা শুধুমাত্র মাদকাসক্তের পরিবারই জানে।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন,’ মাদকের চাহিদা ও সরবারাহ বন্ধ করতে হবে। তাহলে মাদক নির্মূল সম্ভব। মাদকের করাল গ্রাস থেকে যদি নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে না পারি তাহলে আমরা যে আগামী ২০৪১ স্বপ্ন দেখছি সেটা ২০৩০ এ হোচঁট খেতে হবে।’

 

সম্পূর্ণ অলাভজনক সাততলাবিশিষ্ট ৬০ শয্যার এই মাদকাসক্ত কেন্দ্রটিতে মোট ২২টি কক্ষের ১৬টিতে ৪৬টি শয্যা থাকছে পুরুষদের জন্য, বাকি ছয়টি কক্ষে ১৪টি শয্যা নারীদের জন্য,কেবিন ছাড়াও জেনারেল বেডের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও ভবনের ছাদে সকাল সন্ধ্যা ইয়োগা ও মেডিটেশন করার জন্য সুসজ্জিত বাগান, পাশেই রয়েছে জিমনেসিয়াম, ষষ্ঠ তলায় নার্সিং স্টেশন, পঞ্চম তলায় ইনডোর গেম ও লাইব্রেরী, চতুর্থ এবং তৃতীয় তলায় সাধারণ ওয়ার্ড, কেবিন ও ডাইনিং এর ব্যবস্থা দ্বিতীয় তলায় প্রশাসনিক ভবন প্যাথলজি ল্যাব সহ আধুনিক আন্তর্জাতিক মানের সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে এই হাসপাতালে।

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews