পরকীয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী কে গলাটিপে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী। হত্যার একদিন পর পাষণ্ড স্বামীকে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর রামাইল গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
আজ (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির।এসময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির জানান, সীমা ও তার স্বামী সোহেল ভূঁইয়া আবদুল্লাহপুর করের গাঁও এলাকার মানিক সওদাগরের ভাড়া বাসায় ২ বছর যাবৎ বসবাস করতেন। স্বামী স্ত্রীর মাঝে পরকিয়া নিয়ে কলহ সৃষ্টি হয়। স্বামী সোহেল স্ত্রীকে বার বার বোঝানোর পরও স্ত্রী তা শোনেনি এতে স্বামী সোহেল ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে গলাটিপে স্ত্রীকে হত্যা করে । বাড়ির পাশের ডোবার কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী সোহেল ভূঁইয়া জানান, ৪ বছর আগে তারা প্রেম করে বিয়ে করে এতে তাদের দুই পরিবার মেনে নেয়নি এবং তাদের পরিবারের সাথে তাদের যোগাযোগ ছিলো না। তাদের ২বছর ৯ মাস ও ৯ মাসের ২ টি শিশু সন্তান রয়েছে।
হত্যারপর স্বামী সোহেল ভাড়াটিয়া প্রতিবেশীদের বলেন তার স্ত্রী সীমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর তিনি সেখান থেকে উধাও হয়ে যান।
এই ঘটনার হত্যার ২৪ ঘন্টা পর তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবির রহস্য উদঘাটন ও মূল আসামী স্বামী সোহেল ভূইয়াকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ২৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করে ।
প্রসঙ্গত গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ডোবার ঝোপের অজ্ঞাত নারীর লাশ ভাসতে দেখে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের স্বামী পেশায় একজনবাসের হেলপার।
নিহত সীমার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর থানার কমলা কান্তপুর শিকারী পাড়া গ্রামের ছুটু মিয়ার মেয়ে এবং পাষণ্ড স্বামী সোহেল ভূঁইয়া টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর থানার রামাইল গ্রামের সাইফুল ইসলাম এর ছেলে ।
সোহেলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নিহত সীমার মা লিপি বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
Leave a Reply