নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ নেতা কামরুল ইসলাম (এমপি) বলেছেন, ‘১৫ই আগস্ট, ৩রা নভেম্বর ও ২১ শে আগস্টের হত্যাকান্ড একই সূত্রে গাঁথা। ঐ একই শক্তি এখনও শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য তাড়া করে ফিরছে, এরা এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের মঙ্গলযাত্রাকে এরা থামিয়ে দিতে চায়। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং এদেরকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে।’
শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালে কেরাণীগঞ্জের ইস্পাহানি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রাঙ্গণে কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ২১ শে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে এসব কথা বলেন তিনি।
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ততকালীন সময়ে ’৭৫এ জিয়ার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো। অবিলম্বে একটি কমিশন গঠন করা হবে। আর এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডে জড়িত কুশিলবদের সামনে আনা সম্ভব হবে। বহু বছর পরে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চার্জসিট থেকে জিয়ার নাম বাদ পরেছিলো। কারন তখন জিয়া ছিলো মৃত। আর মৃত ব্যক্তির নাম মামলার চার্জসিট থেকে বাদ দিতে হয়। বিএনপি ২০০৮ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। গ্রেনেট হামলার দুদিন আগে হাওয়া ভবনে বসে মিটিং হয়েছিল। বিশ্বের কোথাও বিরোধীদলকে এমন নিশংসভাবে নিচিহ্ন করার জন্য চেস্টা ইতিহাসে নেই। বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে এই অপশক্তিকে অবশ্যই বিতাড়িত করতে হবে। সবাইকে সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শেখ হাসিনার এবারের মেয়াদকালেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার কাজ শেষ করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
তিনি আরো বলেন,‘তালেবানরা আফগানিস্থান দখল করে নিয়েছে। এতে বাংলাদেশে একটি গোষ্ঠী উৎসাহী হয়ে উঠেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহীনি সতর্ক আছে। তবে এদেশে আর জংগি আস্তানা বানানোর সুযোগ দেয়া হবেনা।’
দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় নেতারা।কেরানীগঞ্জ মডেল থানা যুবলীগের আহবায়ক মনির হোসেনের এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ইউসুফ আলী চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক হাজী শফিউল আজম খান বারকু ও গ্রেনেট হামলায় আহত হাজী আলতাফ হোসেন বিপ্লবসহ অন্যরা।
Leave a Reply