নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কেরানীগঞ্জে জুয়া খেলার পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে শ্যালকের হাতে দুলাভাই খুন হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে খুন হওয়া ব্যক্তির নাম মোঃ ইয়াছিন (৩৮)। সে শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানার ভুইখারা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। স্ত্রী পরিবারসহ জিনজিরা ছাটগাঁও এলাকায় আহম্মদ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বসবাস করতো।
গত সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিনজিরা এলাকায় একটি শপিংমলের সামনে ছুরিকাঘাত করে তাকে খুন করা হয়।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য স্যারসলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে মর্গে প্রেরন করেছে।
হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ নিহতের ফুফাতো শ্যালক সোহাগ (২১) ও তার সহযোগী খোকন (৩৫) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে । নিহতের ঘটনায় বাদী হয়ে স্ত্রী মায়া বেগম কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, রাত নয়টারদিকে ইয়াছিন ও কয়েক যুবক মিলে ওই এলাকায় অবস্থান করছিল। এসময় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায় ইয়াছিনের পেটে ধারালো ছুড়ি দিয়ে উপুর্যপুরি আঘাত করে। অবস্থাখারাপ দেখে ইয়াসিনকে ফেলে রেখে বাকিরা পালিয়ে যায়। আঘাতের চোটে পেটের নাড়ীভুড়িবের হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে ইয়াছিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ এসে লাশউদ্ধার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানা পুুলিশের এসআই তপন বকসি জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সম্প্রতি তারা একত্রিত হয়ে জুয়া খেলেছে। জুয়া খেলায় ইয়াসিন হেরে গিয়ে সোহাগের টাকা না দিয়েইপালিয়ে যায়। পরে ইয়াসিন আর বাকিদের সাথে যোগাযোগ না করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ইয়াসিনকে ছুরিকাঘাত করেছে।
ইয়াসিনের স্ত্রী মায়া বেগম জানান, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তার স্বামী ইয়াছিনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় খোকন। এর ঘন্টাখানেক পর খোকনই আবার বাসায় এসে খবর দেয় যে কারা যেনো তার স্বামীকে ছুরিকাঘাত করেছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেতে পায় যে তার স্বামীর লাশ পরে আছে। তার স্বামী ইয়াছিন এবং ফুপাত ভাই সোহাগ ও খোকনসহ কয়েকজন একত্রে চলাফেরা করতো বলেও জানায় মায়া বেগম।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ছালাম মিয়া বলেন, নিহত ব্যাক্তি ও আসামীরা একই দলের। তারা সবসময় সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করতো। তাদের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি,মাদক চোরাচালানসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছে। সে মামলায় সোহাগ ও খোকন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Leave a Reply