কেরানীগঞ্জের মডেল থানার জিনজিরা তাওয়াপট্টিতে গ্যাস লাইন লিকেজের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধের দুইদিন পর ৫ জনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এনামুল নামে একজন মারা গেছেন। অপর আরেকজন তার ভাই আতিকুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিওতে ভর্তি করা হয়েছে।
১৩ আগস্ট শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শেখ হাসিনা বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিওতে থাকা অবস্থায় মারা যান এনামুল।
গত ১০আগস্ট মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন জিনজিরা তাওয়া পাট্টি এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে আলী আহম্মদ এর বাড়ীর তৃতীয় তলায় তিতাস লিকেজ হয়ে আগুন ধরে। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ। সেসময় ঘরের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে পঞ্চাশ মিটার দূরে বুড়িগঙ্গা নদীতে থাকা জাহাজে গিয়ে পরে।
ঘটনার সেইদিন দগ্ধ হন জুলহাস(৬০), শাহিদা (৫০) ছেলে আতিকুল (২২), এনামুল (১৯) ও মেয়ে তানজিলা। পরিবারটি ওই এলাকায় ভাড়া বসবাস করতো। তাদের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলায়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
একটি সূত্রে জানা গেছে, বাড়িটির ওই তলার গ্যাস লাইন অবৈধভাবে চালানো হচ্ছে। ঘটনার পর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাড়িটির বিভিন্ন তলায় রুমের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা আছে। সূত্রের তথ্যমতে,যখন গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানে আসে তখন লাইনের গ্যাস বন্ধ করে রান্নার কাজে সিলিন্ডার ব্যবহার করে ।
আলী আহম্মদ এর তাওয়াপট্টির বাড়ী ছাড়াও কেরানীগঞ্জ মডেল টাউন এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে একাধিক বাড়ী রয়েছে। তবে সেবকল বাড়িতে ব্যবহার করা গ্যাস অবৈধ কিনা জানা যায়নি।
গ্যাসের বিষয় বাড়ীর মালিক আলী আহম্মদ অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার বাড়িতে ব্যবহার করা তিতাস গ্যাসের লাইন সরকার অনুমোদিত।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পাঁচজন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় এনামুল নামের একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে চিকিতসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বিষয়টি গ্যাস কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে।
Leave a Reply