বুধবার (১১ আগস্ট) বেলা পৌনে ১টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এ সময় দগ্ধ হন দোকানের কর্মচারী মো. হানিফ (২৫), চাদোকানের পাশের ফল দোকানদার মো. রফিকুল ইসলাম (২৮), চা দোকানের পাশের শোরুমের ভ্যান চালক মোঃ মাসুম (৩৫) এছাড়া ওই চা দোকানে বসে থাকা অজ্ঞাত ২ পথচারী।
জানা গেছে,দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কদমতলী গোলচত্বর এলাকায় সারা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আলম টি স্টোর নামের ফুটপাতের একটি চায়ের দোকানে সিলিন্ডার পরিবর্তন করার সময় গ্যাস ভরা সিলিন্ডারটিতে আগুন ধরে যায়। মুহুর্তেই ওই চায়ের দোকানে এবং পাশে থাকা একটি অস্থায়ী আমের দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানে বসে চা খাওয়া অবস্থায় আরো অজ্ঞাত দুজনের শরীরে আগুনের শিখা ছিটকে পরে আহত হয়।
খবর পেয়ে দ্রুত কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থল আসে। তবে ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই স্থানীয়রা মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়। ওই চা দোকানের ১০ ফুট পিছনে রয়েছে নামকরা ব্রান্ডের একটি শো রুম। সে শোরুমে থাকা অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রন করতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের ও পাশের শোরুমের কর্মচারীরা জানান, যদি আগুনের কারনে গ্যাস সিলিন্ডার তাহলে শোরুমে চলা এসি ও ফ্রিজের গ্যাস মিলে ভয়াবহ আগুনের সৃষ্টি হতে পারতো।
শোরুমের এক কর্মচারী জানান, হঠাৎ আগুন লেগে গেলে মানুষজন ছুটাছুটি শুরু করে। পাশের দোকান গুলোর সাটার নামিয়ে বন্ধ করতে শুরু করে। আমি আমাদের শোরুমে থাকা অগ্নি নিবর্বাপক যন্ত্র নিয়ে স্প্রে করে আগুন নিভাতে সাহায্য করি। এর কিছুক্ষণ পরে ফায়ার সার্ভিস আসে।
আগুন লাগার বিষয়ে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান বরকত উল্লাহ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি স্থানীরা মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলেছে। স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে আগুনের কারনে পাঁচজন আহত হয়েছেন। চা দোকানের তেমন বেশী কিছু ক্ষতি হয়নি। তবে ফুটপাতে এমন দোকান একদমই অনিরাপদ।
Leave a Reply