২৮ বছর পর কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলকে ১-০ গোলে চ্যাম্পিয়ন হলো আর্জেন্টিনা। দেশের পক্ষে লিওনেল মেসির প্রথম শিরোপা দিয়ে শেষ হলো এই দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা। ১৯৯৪ সালের পর কোন ট্রফি জিতল মারাদোনার দেশ আর্জেন্টিনা। গোল্ডেন বল আর বুট দুটো ট্রফিই উঠেছে মেসির হাতে। ফাইনাল সেরা ডি মারিয়া।
মাঠের একপ্রান্তে লিওলেন মেসিকে নিয়ে উল্লাস। অন্য প্রান্তে নেইমারের হতাশা। দুই তারকার চোখেই পানি। একজনের আনন্দ অশ্রু। অন্যজনের আক্ষেপের কষ্ট। শেষ হলো আর্জেন্টিনার আটাশ বছরের অপেক্ষা। আর দেশের হয়ে মেসির প্রথম ট্রফি জয়ই হয়ে থাকলো কোপা আমেরিকার এবারের হাইলাইটস।
করোনা তার ভয়ঙ্করতম চেহারা দেখিয়েছে ব্রাজিলে। সে কারণেই ফাইনালের শুরু নিরবতায়। এই শব্দহীন সময়টুকু যেন মারাকানার ফাকা গ্যালারিরই প্রতীকি রূপ।
খেলার শুরুতে সেলেসাওরা একটু আপারহ্যান্ডে। যদিও প্রথম ১০-১৫ মিনিটের সেই নিয়ন্ত্রনে তৈরি হয়নি গোল করার মতো কোন সুযোগ। উল্টো বাড়তি চাপ থেকেই দু-দলের খেলায় এলোমেলো ছাপ।
গোলের প্রথম সুযোগ ২২ মিনিটে আর্জেন্টিনার। একাদশে ফেরা ডি মারিয়া একচুল ভুল করেননি। উল্টো ব্রাজিল ডিফেন্ডার লোডির ভুলকে কাজে লাগিয়ে আকাশী নীলদের এগিয়ে নেন।
আলবিসেলেস্তেদের উল্লাসে মানসিকভাবে আরো এলোমেলো হয়ে পড়ে হলুদরা। মিনিট পাচেক পর পেনাল্টি বক্সের বাইরে নেইমার ফ্রি কিক আদায় করলেন ঠিক, কিন্তু বল মেরে বসলেন দেয়ালে।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই দারুন অ্যাটাকে গোল ফিরিয়ে দেয় ব্রাজিল। কিন্তু বিধি বাম। রিচার্লিসন ফিনিশিং ঠিক থাকলেও অফসাইড এড়াতে পারেননি। ৫৪ মিনিটে সেই রিচার্লিসনের স্বার্থপর আচরনে খেলায় ফিরতে ব্যর্থ ব্রাজিল।
হোম গ্রাউন্ডে ব্রাজিল যে কতটা এলোমেলো ছিল তার প্রমান ৬৩ মিনিটের এই ভুল পাস। তবে চাপে থাকা মেসিও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি। ৮০ মিনিটের ফাউলকে কেন্দ্র করে দু-দলের এই উন্মত্ত আচরন বুঝিয়ে দেয় কতোটা নার্ভাস দু-দল। আর ৮৭ মিনিটের মেসির এই মিস না হলে দুই গোলের জয় পায় আর্জেন্টিনা। শেষ দিকে কিছু সুযোগ পেলেও ব্রাজিল নার্ভ ধরে রাখতে ব্যর্থ।
এরপর শেষ বাশির সঙ্গে উল্লাসের শুরু। যার শেষটা মেসির হাতে শিরোপা দিয়ে। আকাশে আতশবাজি, আর নিচে শিরোপা উৎসব। গোল্ডেন বুট আর বল দুটো ট্রফি জিতে ক্ষুদে জাদুকর যেন অনেক কিছুর জবাব দিলেন।
Leave a Reply