ফুটবলের অন্যতম আসর কোপা আমেরিকার ফাইনালে ১১ জুলাই ভোর ৬টায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মুখোমুখি। গত ২৮ বছরের শিরোপা খরা ঘুচানোর মিশনে নামবে আকাশি-নীলরা। আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম কোনো মেজর টুর্নামেন্ট জিততে মরিয়া মেসি। অন্যদিকে ব্রাজিলের লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা বিশ্বজুড়ে ফুটবল প্রেমীদের কাছে পরম আকাঙ্খিত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ। আর তা যদি হয় ফাইনাল তাহলে তো কথাই নেই। মেগা ফাইনালের অপেক্ষা ফুরাতে চলছে। শুরু হয়ে গেছে কাউন্ট ডাউন। এবার শিরোপা জিততে মরিয়া মেসি। বিশ্ব ফুটবল মেসির মতো কাউকে খুব কমই পেয়েছে। অথচ এমন এক ফুটবলারের দেশের জার্সিতে মেজর কোনো ট্রফি নেই। অপেক্ষাটা ২ যুগেরও বেশি। ক্যারিয়ারের সায়াহ্ণে এসে আকাশি-নীল জার্সিতে নামলেই নিজেকে উজাড় করে দেন ফুটবল যাদকুর। এআসরেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। অদম্য মেসিকে নিয়ে প্রতিপক্ষ ব্রাজিল সর্বোচ্চ মাত্রায় সতর্ক। ব্রাজিলের থিয়াগো সিলভা বলেন, মেসি ফাইনালে ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। তাকে আটকাতে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে। ভারসাম্য নষ্ট করে খেলা নিজেদের দিকে নিয়ে যেতে পারেন মেসি, যেমনটা নেইমারও পারেন। আর্জেন্টিনার হেড কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি বলেন, মেসি ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার। এই ট্রফি জয় করে তার প্রমাণের কিছু নেই। আমরা নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করতে চাই। আগে কি হয়েছে, তা নিয়ে ভাবতে চাই না। মেসি নাকি নেইমারের দল, শেষ হাসি কারা হাসবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে পরিসংখ্যান বলছে ব্রাজিলকে হারানো কঠিন। কোপা আমেরিকা আয়োজন করে ঘরের মাঠে কখনো হারেনি সেলেসাওরা। দুদলের মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। ১১১ বারের দেখায় আলবিসেলেস্তের জয় ৪৬টি, আর সেলেসাওদের জয় ৪০ ম্যাচে, বাকি ২৫ ম্যাচ ড্র। কোপা আমেরিকায়ও ব্রাজিলের ৯ শিরোপার বিপরীতে আর্জেন্টিনার শিরোপা ১৪টি। কিন্তু বিশ্বকাপসহ অন্য সব মেজর টুর্নামেন্টে সেলেসাওদের ট্রফি বেশি।
ব্রাজিলের হেড কোচ তিতে, এই লড়াইয়ের মহিমা অতুলনীয়। যেখানে মেসি, নেইমারের মতো ফুটবলার তাদের নৈপুণ্য দেখাবে। দারুন এক ম্যাচের সাক্ষী হতে যাচ্ছি আমরা। আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তোলার অন্যতম নায়ক তাদের গোলকিপার মার্টিনেজ। শিরোপা জয়ে নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত তিনি এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বলেছেন, নেইমার, ফিরমিনো, রিচার্লিসনকে নিয়ে শক্তিশালী অ্যাটাক ব্রাজিলের। আমি ও আমার দল ওদের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। মারাকানায় এমন একটি ম্যাচের জন্য আমরা বহু বছর অপেক্ষা করেছি। মেগা ফাইনালে দুদলেই পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। ডি মারিয়াকে দেখা যেতে পারে আলবিসেলেস্তে একাদশে। অন্যদিকে স্যান্দ্রো ফিট হলে ব্রাজিল একাদশে ফিরবেন তিনি।
ফাইনালের ভেন্যু মারকানায় দর্শক ধারনক্ষমতার ১০ শতাংশ প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। হলুদ বর্ণচ্ছটায় রঙিন হবে নাকি কান্নায় মলিন হবে মারকানা, তা জানতে আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা।
Leave a Reply