দেশে আবারো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঢাকাকে এর চারপাশের জেলাগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে সাত জেলায় ৯ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। জরুরি সেবা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম ছাড়া অন্য সব ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার গাজীপুরও।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সেখানেও লকডাউন পালনে ঢিলেঢালা ভাব প্রশাসনের। গাজীপুরে ঢোকার ও বের হওয়ার পয়েন্টগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়েছে যানবাহন চলাচলে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। তবে, ব্যক্তিগত গাড়ি, ভাড়ার গাড়ি, সিএনজি, অটো সবই চলছে। দোকানপাটও খুলতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে যেসব যানবাহন লকডাউন অমান্য করে চলাচল করেছে, সেগুলো পুলিশ ঘুরিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মস্থানে যাওয়া মানুষ। পরে বাস থেকে নেমে কেউ হেঁটে কেউবা রিকশায় উঠে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন।
তৈরি পোশাক কারখানাসহ অনেক কারখানা চালু থাকায় গাড়ি না পেয়ে লোকজন পায়ে হেঁটে আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা থেকে টঙ্গীর দিকে যাচ্ছেন।
এর আগে সোমবার সাত জেলা অবরুদ্ধ থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান। জেলাগুলো হল- মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ। দেশের যে কোনো স্থান থেকে ঢাকায় ঢুকতে হলে মানিকগঞ্জ বা নারায়ণগঞ্জ অথবা মুন্সীগঞ্জ কিংবা গাজীপুর হয়েই আসতে হয়।
এর ফলে ৭ জেলায় লকডাউনের ফলে, সারাদেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকা। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সব ধরণের বাস ও লঞ্চ চলাচল। তবে ভোরে গাবতলী, মহাখালী থেকে দূরের গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায় কিছু বাস। পরে সকাল ৭টার দিকে পুলিশ বাস টার্মিনাল থেকে গাড়ি বের হতে বাধা দেয়।
হঠাৎ করে দূরপাল্লার বাস বন্ধ হওয়ায় বিপাকে যাত্রীরা। আগে থেকে টিকিট কেটে রাখা অনেকে টার্মিনালে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
Leave a Reply