ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর আমবাগিচা এলাকার রতন নামের এক ব্যক্তির গোপনাঙ্গ কেটে আলাদা করে দেয়ার ঘটনায় প্রিয়া ওরফে তানজিলা নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে রোববার এঘটনায় বাদী হয়ে রতনের স্ত্রী মুক্তা বেগম দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ওই নারীকে রোববার দুপুরে আগানগরের কদমতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্ত্রী মুক্তা বেগম জানায়, রতন ঢাকার নবাবপুর থানার বংশাল এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তারা পরিবারসহ আমবাগিচা রাব্বির বাড়ীতে ভাড়া থাকেন।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঝাউবাড়ী এলাকায় প্রিয়ার বাসায় ডেকে নেয়। পরে রাতে রতন ঘুমিয়ে পরলে তার গোপনাঙ্গ ধারালো চাকু দিয়ে কেটে আলাদা করা হয়।
জানা গেছে, রতন একজন নেশাগ্রস্থ ব্যক্তি । রতন এবং ওই নারীর সাথে ৫-৬ বছর যাবৎ অবৈধ সম্পর্ক ছিলো। এদিকে রতন প্রিয়াকে বিয়ে করার কথা বলেও মুক্তা নামের আরেক মেয়েকে বিয়ে করে ঘর সংসার করতে থাকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে রতনকে কৌশলে প্রিয়া তার বাসায় নেয়। নেশাগ্রস্থ রতন গভীর রাতে ঘুমিয়ে পরলে প্রিয়ার কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে গোপনাঙ্গ কেটে আলাদা করে দেয়। পরে প্রিয়া সেখান থেকে সরে পরে।
রতন তার স্ত্রী মুক্তাকে ফোন করে। পরে বাড়ীর লোকজন এসে রতনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, রতনের গোপনাঙ্গ কাটার বিষয় তার স্ত্রী মুক্তা বেগম আজ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত প্রিয়া আক্তার তানজিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি প্রিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গোপনাঙ্গ কাটার কথা স্বীকার করেছে। তবে এ কাজে তার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply