অনলাইন বিনোদিনভিত্তিক অ্যাপ টিকটকের আড়ালে অপরাধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। ঘটছে নারী পাচার, মাদক ব্যবসা ও ধর্ষণের মতো ঘটনা। সুস্থধারার বিনোদনের সুযোগ না থাকায় তরুণ প্রজন্ম সাইবার দুনিয়ায় আকৃষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই, এসব অ্যাপ আইন করে নিষিদ্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
কিছুদিন আগে রাজধানীর এক তরুণীকে প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচারের পর নির্মম নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পুলিশের তদন্তে এ ঘটনার মূল হতো হিসেবে উঠে আসে টিকটক হৃদয় বাবুর নাম।
কয়েক বছর ধরেই টিকটকের আড়ালে ঘটছে এমন ঘটনা। সস্তা খ্যাতি, সহজে অর্থ উপাজর্নের পাশাপাশি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে কিছু টিকটকার। কিশোর গ্যাং তৈরি করে জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসা, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও মানবপাচারের মতো ভয়াবহ অপরাধে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেখলা রহমান বলেন, সহজে আয় করার সুযোগের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণ-তরুণীদের ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত করছে সংঘবদ্ধ চক্র। পরে পার্লার, সুপার শপ, কিংবা বড় শপিংমলে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। শুধু তাই নয়, টিকটকের অশ্লীল ও মানহীন ভিডিওর ফলে দেখা দিচ্ছে সামাজিক অবক্ষয়।
২০১৯ সালে দেশে টিকটক বন্ধ করা হলেও অ্যাপটির কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ওই বছরই তা আবারো চালু হয়। তবে, টিকটকের নেতিবাচক সামাজিক প্রভাব এড়াতে অবিলম্বে অ্যাপটি নিষিদ্ধের তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
সামাজিক অবক্ষয় ও অপরাধ প্রবণতা রোধে ভারত ও পাকিস্তানে এরই মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে টিকটকের কার্যক্রম।
Leave a Reply