Warning: Creating default object from empty value in /home/burigangatv/public_html/wp-content/themes/BreakingNews/lib/ReduxCore/inc/class.redux_filesystem.php on line 29
সিলেটে এমসি কলেজে ধর্ষণ: অধ্যক্ষ ও হল সুপারকে বরখাস্তের নির্দেশ - বুড়িগঙ্গা টিভি সিলেটে এমসি কলেজে ধর্ষণ: অধ্যক্ষ ও হল সুপারকে বরখাস্তের নির্দেশ - বুড়িগঙ্গা টিভি
  1. ashiqnur96@gmail.com : editor :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
অত্যাধুনিক ২০টি ড্রোন হারিয়ে বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম “পাঠকের মতামত” তিনটি হাসপাতাল চীনের উপহার: দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনেও কি আলো আসবে? দুর্ঘটনায় উড়ে গেল বাসের ছাদ তবুও পাঁচ কিলোমিটার টেনে নিলেন চালক সরকার-বিএনপির নির্বাচনী টাইমফ্রেম কাছাকাছি, তবুও কেন শঙ্কা বিক্ষোভ সমাবেশ করে বগুড়ায় সরকারি পলিটেকনিকের মূল ফটকে তালা দিলো শিক্ষার্থীরা টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা তুলে নিতে বাদীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি জামালপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ছেলের ছুরিকাঘাতে মায়ের মৃত্যু কেরানীগঞ্জে জোর করে সাইনবোড লাগিয়ে জমি দখলের চেষ্টা, যুবদল নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

সিলেটে এমসি কলেজে ধর্ষণ: অধ্যক্ষ ও হল সুপারকে বরখাস্তের নির্দেশ

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ২ জুন, ২০২১

সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় কসালেহ আহমেদ ও হোস্টেল সুপার জীবন কৃষ্ণ আচার্যের গাফিলতি রয়েছে মর্মে তাদেরকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইনসচিব, শিক্ষাসচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ধর্ষণের সেই ঘটনার চার দিন পর জারি করা রুল মঞ্জুর করে বুধবার বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী। ২৯ সেপ্টেম্বর জারি করা রুলের রায়ের গতকাল মঙ্গলবার আজকের দিন ধার্য করেছিলেন হাইকোর্ট।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। একইসঙ্গে ঘটনা অনুসন্ধানে যৌথ কমিটি গঠন করে দেয়া হয়।

চার সদস্যের অনুসন্ধান কমিটিতে সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ বজলুর রহমান, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মমিনুন নেসা, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কাশেম ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন সুলতানা ছিলেন। পরে অনুসন্ধান কমিটি হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে।

এই অনুসন্ধান কমিটি হাইকোর্টে তাদের প্রতিবেদনে বলে, সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় হোস্টেল সুপার ও প্রহরীদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল। তাই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে এমসি কলেজের অধ্যক্ষও কোনোভাবেই ওই ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না। গণধর্ষণের পেছনে মূলত হোস্টেলের বর্তমান তত্ত্বাবধায়করা, হোস্টেলের মূল গেটের ডে গার্ড, ৫ নম্বর ব্লকের ডে গার্ড ও নাইট গার্ড (নৈশপ্রহরী) এবং ৭ নম্বর ব্লকের ডে গার্ড ও নাইট গার্ডের দায়িত্বে অবহেলা ছিল।

প্রতিবেদেনে আরো বলা হয়, ঘটনার সময় কলেজ বন্ধ থাকার পরো কয়েকজন ছাত্র ও প্রাক্তন ছাত্র হোস্টেলে অবস্থান করেন। একজন প্রাক্তন ছাত্র ৫ নম্বর ব্লকের হোস্টেল সুপারের বাসভবন দখল করে থাকেন। প্রাক্তন ওই ছাত্ররা অবৈধভাবে কলেজ হোস্টেলের সিট দখল করে থাকার কারণে এবং প্রাক্তন ছাত্র সাইফুর রহমান হোস্টেল সুপারের বাসভবন জোর করে দখল করে থাকার কারণেই তারা কলেজের হোস্টেল এলাকায় সংঘবদ্ধধর্ষণের মতো অপরাধ করার সাহস পান। ফলে ঘটনার তারিখে হোস্টেল ক্যাম্পাসে ওই ঘটনার নেপথ্যে মূলত হোস্টেল সুপারদের তদারকির ঘাটতি ও দায়িত্বে অবহেলাই দায়ী। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে কলেজের অধ্যক্ষের ওপরও এ দায়ভার চলে আসে।

প্রতিবেদনে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ১৫ দফা সুপারিশ করে বলা হয়েছে, কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে হোস্টেলে আসন নিশ্চিত করতে হবে এবং অছাত্র বা প্রাক্তন ছাত্রদের হোস্টেলে বসবাস কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বুধবার অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারকে বরখাস্তের আদেশ দেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে যান এক গৃহবধূ। ওই সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই গৃহবধূকে তার স্বামীসহ তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা মারধর করে স্বামীকে বেঁধে রেখে কলেজ হোস্টেলের কক্ষে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী ঘটনার দিন রাতেই বাদি হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন। মামলায় ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়।

আসামিরা হলেন- এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। আসামিদের সবাইকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আপনি সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো সংবাদ
    © ২০২৪ বুড়িগঙ্গা টিভি কর্তৃক সর্বসত্ব সংরক্ষিত।
 
Theme Customized By BreakingNews