সরিষা বীজ ঘোষণা করে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনা ৪২ টন আমদানি নিষিদ্ধ পপি বীজ জব্দ করেছে শুল্ক বিভাগ। এই পপি বীজ মাদকদ্রব্য আফিমের কাঁচামাল এবং পপি চাষে ব্যবহার হয় বীজ। সোমবার রাতে চট্টগ্রাম শুল্ক বিভাগের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা এসব বীজ জব্দ করে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা জানান, পুরান ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আজমিন ট্রেড সেন্টার সরিষা বীজ ঘোষণা দিয়ে মালয়েশিয়া থেকে ২ কনটেইনার পণ্য আমদানি করে। সরিষা ও পপি বীজ দেখতে অনেকটা একইরকম। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কনটেইনারের সামনে সরিষা রেখে পেছনে পপি বীজ আমদানি করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির এজেন্ট চালানটি খালাসের জন্য ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে আবেদন করে। একইসাথে ঘোষিত পণ্য সরিষা বীজের শুল্ক বাবদ ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা পরিশোধ করে। তবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খালাস প্রক্রিয়া স্থগিত করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
পরে চালানে ৫৪ টন সরিষা বীজের পরিবর্তে ১২ টন সরিষা বীজ এবং ৪২ টন আমদানি নিষিদ্ধ পপি বীজ পাওয়া যায়। এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম জানান, নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওই বীজের নমুনা চট্টগ্রামে কয়েকটি পরীক্ষাগারে এবং পরে ঢাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। সোমবার প্রতিবেদনে পেলে নিশ্চিত হওয়ার পর এসব জব্দ করা হয়।
পপি গাছের তিনশ প্রজাতির মধ্যে ওপিয়াম পপির ফল থেকে যে নির্যাস পাওয়া যায়, তা দিয়ে তৈরি হয় আফিম। সেখান থেকে হেরোইন ও মরফিনের মত মাদকও তৈরি করা হয়। বীজ থেকেই চাষ করা যায় পপি।
Leave a Reply