লক্ষ্মীপুরে রায়পুরে পশ্চিম চরপাতা এলাকার এক গৃহবধুকে অপহরণ ও লাশগুমের অভিযোগে শশুর বাড়ির লোকজনকে আসামী করে আদালতে মামলার ৭ মাস পর ওই গৃহবধুকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেষ্টিগেশন (পিআইবি)। রোববার সকালে ঢাকা সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, বিকেলে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জুয়েল দেব এর আদালতে হাজির করা হয় ওই নারীকে। আদালতে তিনি ১৬৪ ধারা জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দিতে তিনি উল্লেথ করেছেন, তাকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করা হয়নি।
পুলিশ জানায়, ওই গৃহবধুর স্বামী ওমানে থাকেন। এ সুযোগে অন্য পুরুষের সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এসব বিষয়ে একাধিকবার সামাজিকভাবে দুই পরিবারের মধ্যে শালিস বৈঠকও হয়। এর জের ধরে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিকেলে শশুরবাড়ি থেকে সেই নারী কাউকে কিছু না বলে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা পয়সা নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। এরপরের দিন রায়পুর থানায় গৃহবধুর শ্বশুর আবদুল কাদের একটি সাধারন ডায়েরি করেন।
ঘটনার এক মাস পরে ১৯ নভেম্বর ওই নারীর বাবা বাবুল মিয়া বাদি হয়ে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (রায়পুর-১) আদালতে অপহরণ, হত্যা করে লাশ গুমের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামী করা হয় শ্বশুর আবদুল কাদের, শাশুড়ি খুকি বেগম, আবদুল কাদেরের মেয়ের জামাতা আক্তার হোসেন ও বিনু আক্তারসহ ৪ জনকে। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেষ্টিগেশন (পিআইবি) নোয়াখালীকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
এদিকে আজ আদালত প্রাঙ্গণে ওই মামলার আসামি আবদুর কাদের বলেন, মামলা হওয়ার কারণে দীর্ঘ সাত মাস ঘরে তারা ঘুমাতে পারেননি। অর্থ ও সম্মান সবই গেছে। মিথ্যা মামলা দায়েরকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply