স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম একটি গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস শনাক্ত হওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য আসেনি। আমাদের প্রস্তুতি আছে। বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। শিগগিরই রোগটির চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমরা গাইডলাইন দেব।
বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুলেটিনে রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি মিউকরমাইকোসিস (ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই রোগটি আদিকাল থেকে আমাদের পরিবেশের সঙ্গে আছে। বিশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষেত্রবিশেষে এর প্রাদুর্ভাব ও সংখ্যাধিক্য দেখা যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা দেখেছি গণমাধ্যমে এসেছে, ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুজন রোগী পাওয়া গেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত ফলাফল হাতে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত কিছু বলতে পারব না। তথ্য-উপাত্ত হাতে পেয়ে যদি সবাইকে জানাই তাহলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করা উচিত।
নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যেসব রোগীর ক্ষেত্রবিশেষ স্টেরয়েড ব্যবহার করতে হয় ও যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস মেলাইটাস আছে তাদের জন্য ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সত্যিকার অর্থেই বিপদের কারণ হতে পারে। আমরা পরিস্থিতির দিকে গভীর পর্যবেক্ষণ করছি, আশা করছি এটি কোনো অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারবে না।
Leave a Reply